দলের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই তার বনিবনা চলছিল না। সম্প্রতি দলের ডাকা বৈঠকে তার অনুপস্থিতি প্রবল জল্পনা বাড়িয়ে দেয়। আর এবার জেডিইউ ছাড়তে পারেন বিখ্যাত নির্বাচনী রণনীতিকার তথা জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বর্তমানে জোর প্রচার চলছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই নির্বাচনে ভালো ফল করবার জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে।
সম্প্রতি এই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “8 ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইভিএমে এমনভাবে বোতাম টিপুন, যাতে আপনার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যদি বিজেপিকে ভোট দেন, তাহলে দেশে অসংখ্য শাহিনবাগের মত ঘটনা আটকে দেওয়া যাবে।” আর বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই তার পাল্টা মন্তব্য করতে শোনা যায় জেডিইউয়ের সহ সভাপতি তথা বিশিষ্ট রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন – টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে। সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
যেখানে তিনি বলেন, “ইভিএমের বোতাম টিপুন ভালোবেসে। যাতে জোরের ঝটকা হালকাভাবে লাগে।” এদিকে বিজেপির হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতার মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করায় প্রথম থেকেই প্রশান্ত কিশোরের ওপর বেজায় চটেছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। আর তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সাফল্য পাওয়ানোর জন্য কাজ করে চলেছেন।
আর তার ফলে তার ওপর এমনিতেই ক্ষুব্ধ বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ। আর এবার সেই প্রশান্ত কিশোর দলের সঙ্গে একের পর এক দূরত্ব বাড়ানোর মত কাজ করায়, তার দলবলের জল্পনা তুঙ্গে উঠতে শুরু করল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, আদৌ প্রশান্ত কিশোর দলত্যাগ করেন, নাকি নিতীশ কুমার তার বিরুদ্ধে কোনোরূপ কড়া পদক্ষেপ নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।