ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হিসাবে ইস্তফা দিয়েছেন মুকুল রায়, অন্যদিকে আগামী ২ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হাতে চলেছে নাদিমুল হক, বিবেক গুপ্ত ও কুনাল ঘোষের। ওই একই দিনে মেয়াদ শেষ হবে সিপিআইএমের তপন কুমার সেনের। ফলে রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঁচটি আসনে নির্বাচন আসন্ন। এর মধ্যে চারটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় অবশ্যম্ভাবী। এমনকি সম্ভাবনা আছে পঞ্চম আসনেও জয় পাওয়ার। কেননা এবার রাজ্যসভার সাংসদ হতে গেলে পেতে হবে ৪৯ টি করে ভোট। তাই নিজেদের চার প্রার্থীকে জেতানোর পরেও তৃণমূলের হাতে উদ্বৃত্ত থাকবে ১৭-১৮ টি ভোট, অন্যদিকে কংগ্রেসের হাতে ‘সরকারি ভাবে’ থাকছে ৪২ টি ভোট আর বামফ্রন্টের হাতে ৩২ টি ভোট। তাই বাম-কংগ্রেস সমঝোতা না হলে ওই পঞ্চ আসনে ভোট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
এই পরিস্থিতিতে নাদিমুল হকের পুনরায় টিকিট পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুকুল রায় তো ইস্তফাই দিয়েছেন। কুণালবাবুও যে টিকিট পাবেন তা তিনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে বিবেক গুপ্তও টিকিট নাও পেতে পারেন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৩ জন (বা পঞ্চম আসনে জেতার সম্ভাবনা থাকায় ৪ জনও হতে পারে) নতুন মুখ রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে রাজ্যের শাসকদল। আর সেখানে টিকিট পাওয়া নিয়ে ভেসে উঠল একাধিক নাম। তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুনাল ঘোষই জানিয়েছেন তাঁর কাছে থাকা খবর অনুযায়ী এবার টিকিট পেতে পারেন – শুভাপ্রসন্ন, সুবোধ সরকার, অভিরূপ সরকার বা হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, এঁদের মধ্যে কেউ। কুনাল বাবু নিজেও সেই তালিকায় যোগ করতে চান – রাজনীতিবিদ হিসাবে নির্বেদ রায়, শিল্পোদ্যোগী ও সাংস্কৃতিক কর্মী – সত্যম রায়চৌধুরী, সাংবাদিক – জয়ন্ত ঘোষাল ও প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর নাম। এই নিয়ে তিনি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও শেষপর্যন্ত কে টিকিট পাবেন তা ঠিক করবেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।