
অনেকটা সময়ের অবসরের পর আবার স্বমহিমায় টুইটারে ফিরলেন ঋতব্রত। আর ফিরেই ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন-কে।বালুরঘাটের এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে মামলা রুজু হওয়ার পর ফেসবুক-টুইটার থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন ঋতব্রত। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট নতুন জল্পনা তৈরি করল রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনা হলো এখন তিনি রয়েছেন মুম্বইয়ে।পরিবহন, ভ্রমণ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে গিয়েছেন তিনি।সুসংগঠিত বৈঠক আয়োজন এবং কমিটিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ভালোভাবে বজায় আছে দেখে অভিভূত ঋতব্রত। সমস্ত কিছুর কৃতিত্ব চেয়ারম্যান ডেরেক ও’ব্রায়েন-কে দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টুইট করে।
আর তাতেই জলঘোলা শুরু হয়েছে কারণ ডেরেক তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা।ফলে সবাই মনে করছে যে ডেরেকের স্তুতি মানে তৃণমূলের স্তুতি। এরকারণ হিসাবে রাজনীতিবিদরা ভাবছেন যে মামলা চলার কারণেই ঋতব্রত রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হতে চাইছেন।আর ‘ডেরেক-স্তুতি’ মানেই তৃণমূলের-স্তুতি ফলে মামলার চাপ হয়তো অনেকটা কমে যেতে পারে তার উপর থেকে। এছাড়া গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে মুকুল রায় ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েনর আগে ওই কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু মুকুলবাবুর কাছ থেকে ওই পদটি নিয়ে নেওয়া হয়। তাই যখন ঋতব্রত লিখছেন যে ‘আগে এটা ছিল না’ তার মানে যে মুকুল রায়কেই ঘুরপথে দুষছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এতেই আরো বেশি করে সন্ধিহান রাজনৈতিক মহল। কারণ এখন তৃণমূলের সবচেয়ে বড় শত্রু হলেন মুকুল রায় সহ বিজেপি আর তাঁকে দোষ দেওয়া মানে তৃণমূল স্বাভাবিকভাবেই খুশি হবে। যাই হোক রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব সুতরাং ভবিষ্যৎ বলবে আগে কি হবে।