
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি অনলাইন স্ট্রিমিংএর ক্ষেত্রে যে অ্যাপগুলি ব্যবহৃত হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে নেটফ্লিক্স। আর সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের একটি ওয়েবসিরিজ ‘এ সুইটেবল বয়‘-এর এক চুম্বন দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকী, ওই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দুই আধিকারকিকের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এফআইআর করেছে বলেও জানা যায়।
সেইসঙ্গে এই ঘটনায় শিল্পের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বস্তুত, মীরা নায়া পরিচালিত ‘এ সুইটেবল বয়’ ওয়েব সিরিজের একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে, মন্দিরের মধ্যে গভীর চুম্বনে লিপ্ত হিন্দু তরুণী ও এক মুসলিম যুবক। আর তা নিয়ে আপাতত সরগরম হয়ে উঠেছে নেটজগৎ।
আর সেখানে এই ওয়েব সিরিজটি লাভ জেহাদকে সমর্থন করছে বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে নেটিজেনদের তীব্র রোষের মুখে পড়তে হয়েছে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষকে। এমনকী, এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই মধ্যপ্রদেশের রেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে দেখা গেছে বিজেপির যুব মোর্চার এক নেতা গৌরব তিওয়ারিকে।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সেইসঙ্গে এই দৃশ্যটি ওই ওয়েব সিরিজ থেকে সরিয়ে দিয়ে নেটফ্লিক্সকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করতে দেখা গেছে তাঁকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের স্থাপত্যের উদাহরণ টেনে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। বৃহস্পতিবার সকালে খাজুরাহোর মন্দিরের স্থাপত্যের ছবি পোস্ট করে তিনি এমনভাবে কটাক্ষ করেছেন।
তাঁর কথায়, খাজুরাহোর মন্দিরের দেওয়ালের স্থাপত্যে যৌনমিলন দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর সেই ছবিকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে তৃণমূল সাংসদ কটাক্ষ করে বলেন যে, “বিজেপির শাসনকালে আর কত কী দেখব!” তাঁর কথায়, নেটফ্লিক্সের ওয়েবসিরিজে আদৌ হিন্দু ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও বিষয় রয়েছে কি না সেটা মধ্যপ্রদেশের পুলিশকে তিনি খতিয়ে দেখাতে বলেছেন।
তাঁর কথায়, সেটা যদি খারাপ হয়, তাহলে খাজুরাহোর মন্দিরের গায়ে এগুলো কী? তাই তাঁর মতে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর মন্দিরের গায়ের স্থাপত্য শিল্পের যৌন মিলন সংক্রান্ত দৃশ্য নিয়ে যদি হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত না লাগে, তাহলে মন্দিরের মধ্যে চুম্বনে কীভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে বলেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।