
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথেই বর্তমানে তৃণমূল নেত্রী রীতিমতন কল্পতরু হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একের পর এক ঘোষণা করছেন। বিরোধীরা এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পালে হাওয়া টানতে এরকম জনমোহিনীমূলক ঘোষণা করে চলেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার ফলস্বরূপ অনলাইনে ক্লাস চলছে। কিন্তু যেসব পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাঁদের কাছে স্মার্টফোন নেই। তাই তাঁরা ক্লাসেও যোগ দিতে পারছে না।
আর সেইসব পড়ুয়াদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনলাইন ক্লাস করবে এমন ন লক্ষ পড়ুয়াকে এবার একটি করে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা ঘোষণা করেন। এমনিতেই রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সবুজ সাথী প্রকল্প চালু আছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সাইকেল পান বিনামূল্যে। এছাড়াও বই খাতাও দেওয়া হয় বিনামূল্যে। এরই সাথে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিল দেওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু এবার অনলাইন ক্লাস করার জন্য ন লক্ষ পড়ুয়ার হাতে ট্যাব পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কারো বাড়িতে যদি স্মার্টফোন না থাকে তাহলে ট্যাবের সাহায্যে সে ক্লাস করতে পারবে। এছাড়াও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলেও ট্যাব দেওয়া হবে যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। করোনা পরিস্থিতি কবে মিটবে এবং কবে স্কুল চালু হবে, তা নিয়ে কিন্তু এখনো কোন সঠিক নির্দেশ পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস এর ওপরেই জোর দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু আর্থিক সমস্যায় পড়ে স্মার্টফোন কেনার থেকে বিরত রয়েছেন রাজ্যের একটা বড় অংশের পড়ুয়ারা। তাঁদের জন্যই রাজ্য সরকারের ঘোষণা ট্যাব বিলির। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকরাও খুশি হয়েছেন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা যে ভোটের কারণেই সে কথা বুঝতে বাকি নেই কারোর। আর তাই নিয়েই চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব বিতরণ করার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ভোটবাক্সকে শক্তিশালী করে তুলতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথায় কান না দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে কথাই জানাচ্ছেন সর্বসমক্ষে। অন্যদিকে রাজ্যবাসীর জন্য আরও একটি বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, বেসরকারিভাবে rt-pcr টেস্ট করার খরচ এবার থেকে কমে গেল।
এবার থেকে মাত্র 950 টাকায় করোনা টেস্ট করা যাবে। এর ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ যে যথেষ্ট উপকৃত হবেন, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে চলার সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়াই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে হবে তৃণমূলকে। আর সে কথা বোঝার সাথে সাথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক জনমোহিনী ঘোষণা করে চলেছেন। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ঘোষণার পাশাপাশি এবার ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে পাওয়ার জন্যে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকার না করলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ভোট পাওয়ার লক্ষ্যেই এই দরাজ ঘোষণা।