
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার সংগঠন সামলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় সংগঠনকে কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যাবে এবং কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে কিভাবে ঘাসফুল ফোটানো সম্ভব হবে, তার সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতেন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে মাঝেমধ্যেই তিনি এই তিন জেলায় ছুটে যেতেন। যার ফলস্বরুপ হাতেনাতে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই সমস্ত জেলাতে রীতিমত ভালো ফল করেছে শাসক শিবির। তবে সেই শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন হল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। আর তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই এই সমস্ত জেলার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার উত্তরবঙ্গের মালদহ জেলা তৃণমূলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করা হল।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই মালদহ জেলাকে নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক করা হয়। যেখানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। অন্যদিকে জেলায় নতুন দুই কো অর্ডিনেটর করা হয় বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন এবং হেমন্ত শর্মাকে। আর এরপর থেকেই মালদহ জেলাকে নিয়ে নতুন এই সিদ্ধান্তের জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে জল্পনা। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কিছুটা হলেও আতঙ্কিত তৃণমূল কংগ্রেস! আর তাই এতদিন শুভেন্দু অধিকারী এই জেলার দায়িত্বে থাকলেও, এবার বেছে বেছে নেতা বাছাই করে সেখানে দায়িত্ব বন্টন করতে শুরু করল শাসক শিবির!
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এক সময় এই মালদহ জেলার কংগ্রেসের যারা হেভিওয়েট নেতা এবং জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি বর্তমানে মালদহ জেলা তৃণমূলের যিনি সভানেত্রী রয়েছেন, সেই মৌসম বেনজির নূর শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি হতে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর।
অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন, এখন যদি তৃণমূল কংগ্রেস সঠিকভাবে মালদহ জেলার সংগঠন সামাল দিতে না পারে, তাহলে অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখাবেন। আর এই পরিস্থিতিতে জেলার সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে মালদহ জেলার তৃণমূলের সাংগঠনিক এই পরিবর্তন আগামী দিনে কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।