গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কোচবিহার থেকে বালুরঘাট, প্রায় প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রই দখলে রেখে তৃণমূলকে রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে সেই বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়ে মুখে হাসি ফুটল তৃণমূল কংগ্রেসের।
সূত্রের খবর, এদিন কোচবিহার পৌরসভার 4 বিরোধী কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। 13 নম্বর ওয়ার্ডের রমাপতি চৌধুরী, 14 নম্বর ওয়ার্ডের গৌতম বড়ুয়া, 15 নম্বর ওয়ার্ডের শম্পা রায় এবং 16 নম্বর ওয়ার্ডের তপন ঘোষ এদিন ঘাসফুল শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন। জানা গেছে, রমাপতিবাবু সিপিএমের, গৌতমবাবু, শম্পাদেবী নির্দলের এবং তপনবাবু ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর ছিলেন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
এদিন এই সমস্ত বিরোধী কাউন্সিলরদের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাদের দলে স্বাগত জানান, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কুড়ি আসনবিশিষ্ট কোচবিহার পৌরসভা এতদিন তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায়, তৃণমূলের দখলে এতদিন 9 জন কাউন্সিলর ছিলেন। আর এবার 4 জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে 13 হয়ে গেল। যা নিঃসন্দেহে পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের অনেকটাই কুপোকাত করল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করে নিয়েছিল। আর ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোচবিহার পৌরসভার বেশিরভাগ লিড পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেদিক থেকে এবারের কোচবিহার পৌরসভা দখল করতে বিজেপি নিজেদের সাজাতে শুরু করেছিল। কিন্তু এমত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের চার জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করাতে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি পেল। এখন ভোট বাক্সে তৃণমূল কতটা নিজেদের জনসমর্থন আদায় করতে পারে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।