
এবার সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল( আরএলডি) জোটের কড়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বিজেপিকে। এর আগে বিজেপি গোরখপুর ও ফুলপুরের উপনির্বাচনেও খেয়েছে জোড় ধাক্কা। এই আর জোটের সেই সাফল্যে উৎসাহিত হয়েই নিজেদের জোটের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। বাকি ছিল শুধু আরএলডির সাথ। সেটাও পূরণ হয়ে গেলো। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি লক্ষৌতে সমাজবাদী পার্টি ও আরএলডির শীর্ষনেতা অখিলেশ যাদব এবং জাঠনেতা চৌধুরী অজিত সিং এর পুত্র জয়ন্ত চৌধুরীর একান্ত বৈঠক হয়েছিলো। আর সেখানেই তাঁদের সমঝোতাসূত্র নিশ্চিত হয়। চূড়ান্ত হয় কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে সমাজবাদী পার্টি আবার সেই প্রার্থী দাঁড়াবেন আরএলডির তরফ থেকে। একই সঙ্গে আরএলডিকে ছেড়ে দেওয়া হবে নুরপুর বিধানসভার আসনটি। জানা গেছে যে তবাসুম বেগম কৈরানায় আরএলডির প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম লেখালেন। এর আগে ২০০৯ সালেও ইনি কৈরানা থেকে বিএসপির পক্ষ থেকে লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
কৈরানাতে বিরোধী শিবিরের ঘাঁটি শক্ত এখন।বিজেপির থেকে আসন ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।জানা গেছে,১৭ লক্ষেরও বেশি ভোটার এখানে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রবল মোদীঝড়ে সওয়া দু লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হুকুম সিং। তাই এবারের শক্ত বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াই আসলে মর্যাদারক্ষার লড়াই। কৈরানাতে বিরোধীকে জোটকে আরো শক্ত করেছে আরএলডির হাত। যে ৪ লক্ষ অনগ্রসর ভোটর রয়েছে তা পুরোটাই আরএলডির সমর্থক।এছাড়াও রয়েছে ৩ লক্ষ সংখ্যালঘু ভোটার এবং দেড় লক্ষ জাঠ দলিত ভোটার। তাঁর উপর পড়বে মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের মতো নেতদের প্রভাব।ফলে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিরোধীরা। জানা গেছে অখিলেশ যাদব বুঝিয়ে জয়ন্ত চৌধুরীকে সমঝোতার সূত্রে টানে। একই ফর্মুলা বোঝানো হয় মায়াবতীকেও।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কৈরানা উপনির্বাচনে জিততে মরিয়া দুপক্ষই। রাজনৈতিক খবরের সূত্রে আরো জানা গেছে যে প্রয়াত সাংসদের কন্যা মৃগানিকা সিংকে কৈরানায় প্রার্থী করা হতে পারে। অন্যদিকে, আভাস পাওয়া যাচ্ছে কংগ্রেসও হয়তো আগামী তে বিরোধী জোটের সঙ্গে পা মেলাতে পারেন। তবে এখনো পাকা খবর পাওয়া যায়নি এ নিয়ে।