ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একের পর এক মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির, আর এবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত হাজির হল ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের একটি চিঠি। এমনিতেই তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যপালের কুর্সিতে বসেও তিনি নিজের আরএসএসের পরিচয় মুছে ফেলতে পারেননি এবং রাজ্যপালের ক্ষমতা তিনি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করে যাচ্ছেন আপ্রাণ। আর এবার তার সাথেই সামনে এল চিঠি বিতর্ক। সূত্রের খবর, গত ১৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মী সর্বদমন রায়ের নাম তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কাছে পাঠান রীতিমত চিঠি লিখে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় সর্বদমনের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। ওঁকে আমি ১৯৯০ সাল থেকে চিনি। এক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে উনি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ত্রিপুরা সরকারের হিসেব সংক্রান্ত ব্যাপার কিংবা উদ্যোগপতিদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার কাজে উনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
আর এই চিঠিই কোনোক্রমে এসে পরে বিরোধীদের হাতে। এরকম ‘অস্ত্র’ হাতে পেয়ে কোনোরকম দেরি না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা। যথেষ্ট বিতর্কও তৈরী হয় এই নিয়ে। কিন্তু তথাগতবাবু ভ্রুক্ষেপহীন। উল্টে তিনি তাঁর নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেলে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন এই নিয়ে। তিনি লেখেন, সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং বৈধ কাজ (করেছি)। এখন একজন কমরেড সেই চিঠিটি আবিষ্কার করেছেন এবং কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের উল্লাসে লাফালাফি করে বেড়াচ্ছেন। লোল! কিন্তু এই ট্যুইটেই তিনি স্পষ্টতই স্বীকার করে নিয়েছেন, এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিজেপি কর্মীর নাম তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন উপদেষ্টা পদে নিয়োগের জন্য। ফলে বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করে বলছেন, রাজ্যপাল যদি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে না পারেন, তবে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।