
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছাড়েন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে দলে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বেশকিছু নেতা মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁরা শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে, তাঁদেরও দল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল, সেটা আগেও বহু রাজনৈতিক বলেছিলেন। আর সেখানে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের ডাকা বৈঠকে মালদহ জেলা নেতৃত্বের প্রায় সবাই এলেও মৌসম বেনজির নুর ও সাবিত্রী মিত্রকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি বলেই জানা যায়।
আর যেখানে প্রায় সবাই যোগ দিয়েছেন, সেখানে জেলা সভানেত্রী মৌসম উপস্থিত না থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছিল। কারণ বর্তমানে তিনি মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী। গনিখান চৌধুরীর ভাগ্নী মৌসম বেনজির নুর তৃণমূলে আসার আগে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। সেইসঙ্গে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও ছিলেন।
কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর হাতে ধরেই তিনি তৃণমূলে নাম লেখান বলে জানা যায়। তাই সম্প্রতি এখন তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর ফাটল চওড়া হতেই মৌসম বেনজির নুরকে নিয়েও জল্পনা বাড়ছে বলেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে তিনিও তৃণমূল ছাড়তে পারেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল।
আর সেখানেই আজ নিজের অবস্থান সম্পর্কে মুখ খুললেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। সেইসঙ্গে তাঁর ইস্তফার জল্পনাও দূর করে দিয়েছেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মৌসম এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জল্পনা চলছে যে আমি না কি মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।”
তাঁর কথায়, এই ভুয়ো খবর ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হচ্ছে। নেতৃত্বকে ভুল বার্তা দিতে এ সব করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করছি। তাঁর সহযোগিতা পাচ্ছি। জেলার নেতারাও সহযোগিতা করছেন।’’
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তবে কেন সে দিন বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি, তার উত্তরে তিনি জানান, ‘‘আমি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার করোনা টেস্টও করা হয়েছিল। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও মুখ খুলেছিলাম। এখন বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হচ্ছে দেখে সাংবাদিক বৈঠক করলাম।’’ অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী এখন দলে প্রায় ব্রাত্য। সেইসঙ্গে তাঁর দল ছাড়ার কথাও প্রায় স্পষ্ট বলেই ধরে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে আসা মৌসম জানান, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে এসেছি। আমি তাঁর সৈনিক। ওঁর সৈনিক হিসাবেই কাজ করব। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলাম।’’ সেইসঙ্গে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বাইরের কোনও শক্তি এই ষড়যন্ত্র করছে। এর মধ্যে বিজেপি-রও কেউ থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করতে দেখা গেছে তাঁকে।