তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর একের পর এক শানিত আক্রমণে তাঁর প্রাক্তন দল ও সহকর্মীদের বিদ্ধ করেছেন মুকুল রায়। আর তারপরেই রীতিমত সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। কখনো মুকুল রায়ের নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তো কখনো পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো কখনো খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুলবাবু বারবারই দাবি করেছেন নথি ছাড়া তিনি কোনো কথা বলেন না আর তাই প্রতিটি অভিযোগের পিছনেই নথি দেখিয়েছেন, এমনকি কোনো কোনো ব্যাপারে তিনি আদালতের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছেন।
আর এবার তাঁর শানিত আক্রমনের জবাব প্রতি আক্রমনে দেওয়ার পালা শুরু করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা লোক দল পাল্টে মিথ্যে, অসত্য বলছেন, এটা অভিসন্ধি। কতটা সত্যতা আছে সময়মতো বলব। ওনার অ্যাকাউন্টে কীভাবে টাকা ঢুকেছে বলব। কোথায় বার, হোটেল করেছেন, সব বলব। মীরজাফর, ওখানে জায়গা পাওয়ার জন্য এসব করছেন। যার জন্য রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন তাকেই পিছন থেকে ছুরি মারছেন। এখানেই না থেমে তিনি আরো যোগ করেন, ক্লাবের লোকেরা বলেছে, উত্তর দিয়েছে (শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও নাকতলা ক্লাব সম্পর্কে মুকুল রায়ের তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে)। ওনার কথার কোনও ভিত্তি নেই। যা তা করেছেন, অন্যায় করেছেন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের ক্ষতি করেছে। উনি যা করেছেন, তা সময়মতো আমরা দেব। বিভীষণের মতো কাজ করছেন। যদিও এতো কিছু বললেও তার সমর্থনে কোনো ‘নথি’ মুকুলবাবুর মত সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেননি বৈশ্বানর বাবু। রাজনৈতিক মহল এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় কবে এইসব অভিযোগের পর্দা সত্যি করে ফাঁস হয় সেই দিকে তাকিয়ে।
এবার মুকুল রায়ের ‘দুর্নীতি’ ফাঁসের পথে শাসকদল
আপনার মতামত জানান -