আজ সরকারিভাবে হতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত নেতা-কর্মীকে সরকারিভাবে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে চলেছেন।আর এই উপলক্ষে দলের সমস্ত সাংসদ-বিধায়ক সহ জেলার নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি।
সরকারি উপলক্ষ্য শুভেচ্ছা বার্তা হলেও, রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন মনে করছেন আজকের বৈঠক।প্রথমত দলের এক সময়ের অঘোষিত দুনম্বর মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর এই প্রথম সমস্ত নেতাকে নিয়ে এতবড় মাপের সম্মেলন, দ্বিতীয়ত সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন।এই পরিপ্রেক্ষিতে দলনেত্রী কি বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের শাসকদলের তাবড় নেতা-কর্মীরা। দলের নিচুতলার কর্মীরা মনেকরেন মুকুল রায়ের দলত্যাগ কোনোভাবেই রাজনীতিতে পার্থক্য করতে পারবে না, কেননা মানুষ এখনো ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যাকে দেখেই এবং ধারে-ভারে মুকুলবাবু কিছুতেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ছাপিয়ে যেতে পারবেন না, বরং মুকুলবাবুর উত্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রচ্ছায়াতেই। তিনি দলত্যাগ করে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ত্বকেই বিড়ম্বনাতে ফেলে দিয়েছেন।
কিন্তু তবুও পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মিটিং গুরুত্ত্বপূর্ন হতে চলেছে, কারন রাজ্যে বিরোধী শক্তি হিসাবে ক্রমশ উঠে আসছে বিজেপি, আর তাই পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে বিরোধীশূন্য করার লক্ষ্যে দলকর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেবেন বলেই আশায় তৃণমূলকর্মীরা। সংগঠনের ফাঁকফোকর ভরাট করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ার পথ দেখবেন তাঁদের প্রিয় দিদি বলেই তাঁদের বিশ্বাস। এছাড়াও দলত্যাগ বা অন্য দলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে তৃণমূলকে যাঁরা অসুবিধায় ফেলতে চাইছেন বা মুকুল বাবুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে দলের ভেতরে থেকেই যাঁরা দলের ক্ষতি করতে চাইছেন তাঁদেরও কড়া বার্তা দেবেন তাঁদের প্রিয়নেত্রী বলে কর্মীরা আশায় আছেন।তাঁরা চাইছেন এই সম্মেলনী থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিন মুখ্যমন্ত্রী আর তার পরেই পূর্ণোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পরে রাজ্যকে কার্যত বিরোধীশূন্য করে দলনেত্রীকে উপহার হিসাবে দিয়ে নিজেদের তথা রাজ্যবাসীর তাঁর উপরে আস্থার সিলমোহর লাগিয়ে দেবেন আরো একবার।
আজ তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী, দল তাকিয়ে দলনেত্রীর বার্তার দিকে
আপনার মতামত জানান -