
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে ভোটের আগে তৃণমূল আর বিজেপির দ্বন্দ্ব যে চরমে পৌঁছেছে সেকথাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই তাঁদের কথাতেই উঠে আসছে একে অপরকে বারবার কটাক্ষ করার প্রসঙ্গ। সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। আর তারই জবাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে।
বস্তুত, এরই মধ্যে গতকাল ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গেছে একাধিক মিমের নেতাকে। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে অনেক মিম নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানা যায়। আর তার মধ্যেই রয়েছেন মিমের প্রধান মুখ আনোয়ার পাশাও। আর তৃণমূলে যোগদান করেই তাঁকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে এবার সেই নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় হিন্দু যুব বাহিনীর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে মিমের নেতাদের তৃণমূল যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আদতে মিম ও তৃণমূল জোট। কিন্তু বাংলার মানুষের সিদ্ধান্তে এবার পরিবর্তন আসছে বলেই মনে করেছেন তিনি।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তাঁর কথায়, তৃণমূলের ওপর আর বাংলার মানুষের ভরসা নেই। মিম এখন তৃণমূলকে ভরসা করছে, তাঁরা বিজেপিকে রুখে দিতে পারবে বলেই মনে করছে বলেও জানান তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।
আর ২০২১-এই সেই পরিবর্তন আসছে বলেই মনে করছেন তিনি। আর এই পরিবর্তন রোখার সাধ্যি কারও নেই বলেও এদিন দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে। সেইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি সবসময় টাকা টাকা করেন। তাই টাকার কথাই বলে যান।
অন্যদিকে, তিনিই নাকি ইচ্ছা করে রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্পের ৬ হাজার টাকা বা আয়ুষ্মান প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না বাংলার মানুষ সুস্থ থাকুন। আর তাই সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে টিকাকরণের কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম পাঠাননি বলেই দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে।