
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন মূলত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নির্বাচনী যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। একদল অপর দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযোগ, বিক্ষোভ, কটাক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ির পর্ব চলছে। আবার এর সঙ্গেই চলছে দল ভাঙানোর খেলা। শাসক দল তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা ও বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, এমন দাবী বারবার বিজেপি করেছে। এবার সে প্রেক্ষিতে সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানালেন যে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে যোগদান করতে চাইছেন। তৃণমূল বিধায়কের এই বিস্ফোরক দাবিতে সরগরম হল বাংলার রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, গতকাল আলিপুরদুয়ার শহরে ছিল বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল। এই মিছিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির বহু নেতাকর্মী যোগদান করেছিলেন। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, জোর করে তাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল। গতকাল আলিপুরদুয়ার শহরের জেলা সদর প্রশাসনিক চত্বরে প্রবেশের সমস্ত পথ পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এর ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ বাড়ে আমজনতার। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সমস্ত বাধা দূর করে বিজেপির যুব মোর্চা কর্মীরা সফলভাবে তাঁদের মিছিল সম্পন্ন করতে পেরেছেন।
গতকাল বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন যে, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১৮ টি আসন। তিনি দাবি করেছেন যে, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২১০ টি আসন পাবে এবং বাংলা সরকার গড়বে বিজেপি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বিজেপিতে আসতে চলেছেন। তবে তিনি বিজেপিতে এলেও, তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার তদন্ত করা হবে। সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন যে, তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী টি অ্যাডভাইজারি বোর্ড এর দায়িত্বে থাকাকালিন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ কোটি টাকা পাঠিয়ে ছিল। সে টাকারই তদন্ত করা হবে।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর, তার পাল্টা জবাব দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। এর পাল্টা হিসেবে তিনি জানালেন যে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নিজেই যোগ দিতে চাইছেন শাসকদল তৃণমূলে। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর হাত ধরেই তৃণমূল আসতে চাইছেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানালেন যে, টি অ্যাডভাইজারি বোর্ড এর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। তাই সেই অ্যাকাউন্টে টাকা আসাও সম্ভব নয়। তিনি জানান যে, গত বছর একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় কিছু না জেনেই এমন অভিযোগ করছেন তাঁরা।
গতকাল বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, তাঁরা যে দুর্নীতি করেছেন। তার সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করলেন সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যের পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন যে, এখনো সময় আছে তৃণমূলের দলদাস হয়ে না থেকে, নিজেদের কাজ করুক রাজ্য পুলিশ। তা না হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সবকিছু অন্যরকম হয়ে যাবে। এভাবে গতকাল দুই দলের দুই নেতার তরজায় সরগরম হল রাজ্য রাজনীতি।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।