
লোকসভায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফলাফল করার পর সাম্প্রতিককালে তাদের প্রভাব উত্তরবঙ্গে কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী বলে পরিচিত শিলিগুড়িতে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদানের ফলে বিজেপির প্রভাব আবার বাড়তে শুরু করল।
বস্তুত, সম্প্রতি এনজিপি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা একসময়কার তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী গত শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। আর এককালের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এই বিজেপিতে যোগদানের পর বিজেপি বর্তমানে শিলিগুড়িতে বাড়তি অক্সিজেন পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু তাই নয়, জয়দীপ নন্দীকে নিজেদের দলে নিয়ে স্থানীয় ক্লাবের কর্তৃত্ব বিজেপি নিজেদের দখলে নিয়ে নিল বলে মত একাংশের। তাই সেদিক থেকে পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এখানে ব্যাপক প্রভাব বৃদ্ধি পেল। গত শনিবার এই তৃনমূল নেতাকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে তৃণমূলকে ব্যাপক ধাক্কা দেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই সময়ই শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল জল্পনা উসকে দাবি করেছিলেন, আসন সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের পরেই তিনি একজন নেতাকে নিয়ে এলেন। অপেক্ষা করুন, আরও অনেক নেতাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
এছাড়াও ভবিষ্যতে তৃণমূলের অনেক নেতা, এমনকি জেলাস্তরের এক নেতাও ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেন এই বিজেপি নেতা। যার পরেই শিলিগুড়িতে রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, জয়দীপ নন্দীর পর তাহলে তৃণমূলের কোন হেভিওয়েট নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন! আর উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী শিলিগুড়িতে যখন এই নিয়ে জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই শাসক-বিরোধী তরজা চরমে উঠতে শুরু করেছে।
এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসু বলেন, “জয়দীপ নন্দী আমাদের দলে এসেছেন। জেলা স্তরের এক নেতাও জয়েন করবেন। কারন তাদের ধারনা হয়েছে, তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনীতি করছে, তাতে এদের ভবিষ্যৎ আর বেশিদিন নেই।” অন্যদিকে বিজেপির এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “কোথায় কারা যাচ্ছে! কারা বলছে এসব! এরকম গল্প ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। আমরা যাকে বাতিল করে দিয়েছি, তাদের নিয়ে বাচ্চাদের মতো হইচই করছে। ওদের দলই ভাঙবে, ওদের আছেটাই বা কি!” তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, জয়দীপ নন্দীর মত দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়, তৃণমূল যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। এখন বিজেপির দাবি মত আরও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন, নাকি তৃণমূল নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।