রবিবার রাতে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা তৃণমূল নেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল সেনকে মারধর করবার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের ওপর ছয় নেতৃত্বদের উপর।অভিযুক্তরা ওই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,নতুন ওয়ার্ড কমিটি তৈরী করাকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই তৃণূমেল গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।অভিযোগ নতুন কমিটির সদস্য রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল সেনকে কোনো মোটেই মেনে নিতে পারছিল না ভাস্কর সেনগুপ্ত, তরুণ ভট্টাচার্য ও পাপাই মিত্র-সহ পুরনো কমিটির প্রায় ছ’জন সদস্য।পুলিশ সূত্রের খবর এই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই রবিবার রাতে বাড়ি থেকে পার্টিঅফিস যাবার সময় আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে ব্যানার্জিপাড়ার ওই দুই বাসিন্দাকে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাহুলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং উজ্জলের এখন চিকিৎসা চলছে।
সূত্রের খবর অনেক দিন ধরেই পুরোনো ওয়ার্ডের সম্বন্ধে নানান দুর্নীতির অভিযোগ আসতো আর তার সমাধানের জন্যই অরূপ বিশ্বাস নতুন কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।এই সিদ্ধান্তের জেরেই আক্রমণ বলে ধারণা পুলিশের।এই নিয়ে অরূপবাবু বলেন, ‘‘বাঁশদ্রোণীর ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’’ এখনো পর্যন্ত ভাস্কর সেনগুপ্ত, তরুণ ভট্টাচার্য ও পাপাই মিত্রকে পাকড়াও করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও তোলবাজির অভিযোগে মামলা জারি করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -