joteনাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোই এককাট্টা হয়েছিল। কিন্তু এবার সংসদ ভবনে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে বিরোধীদের মধ্যকার অনৈক্য যেন ফুটে উঠতে শুরু করল। সূত্রের খবর, এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার সময় এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হাতে কালো ব্যান্ড পড়ে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস সাংসদরা। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা।
যেখানে কেউ সাদা রুমালের মধ্যে, আবার কেউ বা নিজের পোশাকের মধ্যে “নো সিএএ, নো এনআরসি” লাল কালি দিয়ে লিখে নিয়ে এসেছিলেন। জ্বালা যায়, এদিন সংসদের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে ধরনা বিক্ষোভ করেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে।
কংগ্রেসের একাংশের দাবি, তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও, তারা শেষ মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হননি। যার ফলে সংসদের বাজেট অধিবেশনের একদম প্রথম দিনেই বিরোধী জোট বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর, সব থেকে বেশি প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এককাট্টা করার জন্য তিনি প্রবল চেষ্টা চালিয়েছিলেন। যার ফলে দেশজুড়ে একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল যে, মোদি বিরোধিতায় একদম শীর্ষে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, যেভাবে তিনি তার বিরোধিতা শুরু করেছেন তাতে তিনিই বিরোধী জোটের প্রধান নেত্রী বলে মনে করেছিল একাংশ।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তাই সেদিক থেকে বিরোধীদল কংগ্রেসকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিয়ে ময়দান ছেড়ে দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেসের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূলকে বলে মত একাংশের। সূত্রের খবর, এদিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেয়ার সময় সংসদের গরিমা নষ্ট না করে পোশাকের মধ্যে লালকালি দিয়ে লেখা এনআরসি বিরোধী অক্ষর লেখেন তৃণমূল সাংসদরা।
পাশাপাশি অনেক তৃণমূল সাংসদের রুমালের মধ্যেও “নো এনআরসি” শব্দ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু কংগ্রেস যেখানে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এদিন সংসদের বাইরে ধরনা কর্মসূচি করেছিল, সেখানে উপস্থিত না হয়ে পৃথকভাবে তৃণমূল এই কর্মসূচি করায় তৈরি হয়েছে ধন্দ। অনেকেই বলছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের যতই প্রতিষ্ঠিত করতে চাক না কেন, এই ঘটনায় পরিষ্কার যে তাদের ভেতরকার অনৈক্য প্রবল পরিমাণে রয়েছে।
যদিও বা এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের যে সংখ্যা রয়েছে, তাতে আমরা নিজেদের মত করে বিরোধিতা চালিয়ে যাব। এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনের রাস্তা দেখিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে যারা আসতে চান তারা স্বাগত।” আর তৃণমূলের নেতার এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, তৃণমূল বিজেপি বিরোধীতায় যেভাবে আন্দোলনে নেমেছে, তাতে তারা চাইছে না যে অন্য কোনো বিজেপি বিরোধী দল এসে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিক! এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।