21 শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠক। অথচ সেই বৈঠকেই অনুপস্থিত জেলা নেতৃত্বের একাংশ। তাহলে কি কোচবিহার জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদেও ফাটল ধরতে শুরু করেছে? দলীয় সূত্রের খবর, গত শুক্রবারই তৃনমূল ছাত্রপরিষদ নেতা মজিদ আনসার নামে এক ব্যাক্তিকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে সংগঠনেরই অপর গোষ্টীর বিরুদ্ধে। এদিন সেই ঘটনা ও 21 শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা কার্যালয়ে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভপতি সাবির সাহা চৌধুরী এক বৈঠক ডাকেন । সেখানে জেলা পরিষদের দুই সদস্য বরুন দত্ত, পঙ্কজ ঘোষ এবং জেলা তৃনমূল যুবর আজিজুল হক সহ অনেকে উপস্থিত থাকলেও জেলা টিএমসিপির কার্যকারী সভাপতি সহ একাধিক কলেজ ইউনিটের সদস্যরাই ছিলেন অনুপস্থিত।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
——————————————————————————————-
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
তবে এই অনুপস্থিতি নিয়ে মিটিংয়ে উপস্থিত তৃনমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলার সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মিটিংয়ে সবাইকে ডাকা হলেও যাঁরা আসেনি তাঁরা দলবিরোধী কাজ করেছেন। গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে জেলাপরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য পঙ্কজ ঘোষ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ সকলকে মেনে চলার কথা বললেও গোষ্টীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন।এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত তৃনমূল যুব নেতা আজিজুল হক বলেন, “মা মাটি মানুষের আদর্শকে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য।”
তবে যখন এই মিটিং চলছে ঠিক তখনই সন্ধ্যায় সেই সেই নিহত ছাত্রনেতার বিচারের দাবিতে গনস্বাক্ষর অভিযানে নামলেন কোচবিহারে শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের একাংশ। তাই এদিনের মিটিং সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না বলে জানান জেলা টিএমসিপি কার্যকারী সভাপতি সায়নদ্বীপ গোস্বামী। তাঁর অভিযোগ, ” কলেজ ইউনিটের কেউই এই মিটিংয়ে ছিলেন না। কয়েকজন বহেরাগত এই মিটিং চালাচ্ছিলেন।
আর 21 শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি মিটিং আমারা 4 জুলাই করে নিয়েছি। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছাত্র সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তখন কোচবিহারের মত জেলায় সেই ছাত্রসংগঠনের গোষ্টীকোন্দলে সভাপতি বনাম কার্যকারী সভাপতির লড়াই যে এখন জেলা তৃনমূলের মাথাব্যাথার কারন তা এককথায় বলাই যায়।