
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সুফল-বাংলা প্রকল্পের সুফল এবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার। দক্ষিণবঙ্গে এই পরিষেবা চালু করে খুব ভলো সাড়া পেয়ে এবার উত্তরবঙ্গের মানুষও যাতে সুফল বাংলার মোবাইল অ্যাপের সুবিধা নিতে পারেন সেজন্য উঠে-পড়ে লেগেছে রাজ্য-সরকার। এরফলে এবার বাড়িতে বসেই সরকারি দরে চাল-ডাল-শাকসব্জি পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার দিনহাটায় রাজ্যে সুফল বাংলার সপ্তম স্টল উদ্বোধন করে কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, উত্তরবঙ্গে এর পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এজন্য উত্তরবঙ্গে ২৫টি সুফল বাংলার স্টল খোলা হবে। গোটা রাজ্যে নতুন ১০০টি স্টল করা হবে, প্রতিটি ব্লকেই সুফল বাংলার স্টল থাকবে। এই অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া, জেলাশাসক কৌশিক সাহাও উপস্থিত ছিলেন।
রোজকার ব্যস্ততার জন্য অনেকেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাজারে যেতে চান না। ব্যস্ত এই পরিবারগুলিকে টাটকা শাকসব্জি, মাছ, মাংস তুলে দিতে কৃষি বিপণন দপ্তর হোম ডেলিভারি সিস্টেম চালু করেছে। সুফল বাংলা অ্যাপস মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে সেখানে আনাজপাতির দাম দেখে হোম ডেলিভারির জন্য অর্ডার করা যাবে। চাহিদা মতো তালিকা তৈরি করে অনলাইনে অর্ডার দিলেই নিকটবর্তী স্টলের কর্মীরা বাড়িতে ওইসব সামগ্রী পৌঁছে দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে সুফল-বাংলার সাফল্য নিশ্চিত করতে গতকাল বিকালে কোচবিহারে তপনবাবু প্রশাসনিক মিটিং করেন এবং সেখানে জেলার কিষাণমান্ডিগুলিকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতিদিন যাতে কিষাণ মান্ডি গুলো খোলা থাকে সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কিষাণমান্ডিতে যাতে কৃষকরা আরো বেশি করে তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে আসতে পারেন সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতেও বলা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোচবিহার শহরেও সুফল বাংলার স্টল খোলার জন্য কৃষি বিপণন দপ্তর জায়গার সন্ধান করছে। দপ্তর থেকে এদিন চওড়াহাট বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আট কোটি টাকাও বরাদ্দ করা হয়। দিনহাটার সুফল বাংলার স্টলে এখন থেকেই বিভিন্ন সুগন্ধি চাল, লাউ, কুমড়ো, কোচবিহারের বোরলি মাছ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি মুড়িও পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে।