
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা এখনও রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়। এরই মধ্যে একের পর এক বিরোধীদের কথা সেই জল্পনাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে আজ শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই সভা করার কথা রয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে এদিন দুপুরে জনসভা করার কথা তাঁর।
তবে তার আগে সকালেই দিলিপবাবুকে দলের ‘গৃহ সম্পর্ক’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে পড়তে দেখা গেছে। সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা করে কথা বলে তিনি তাঁদের অভাব অভিযোগে শোনেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁদের কী সমস্যা রয়েছে, তাও জানতে চান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে মেদিনীপুর থেকে তৃণমূলের শেষের শুরু বলেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে।
অন্যদিকে এদিন সকালে চা-চক্র থেকে তিনি বলেন ”মেদিনীপুরের মাটি আন্দোলনের মাটি, পরিবর্তনের মাটি। এখান থেকেই আগামী দিনে রাজ্যে পরিবর্তন শুরু হবে। আগে তৃণমূলে বদল হবে, পরে রাজ্যে পরিবর্তন আসবে।”
এরই মধ্যে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এদিন তিনি বলেন, ”শুভেন্দুকে নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে আগামী দু, একদিনের মধ্যেই ইতি পড়বে। উনি তো মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন। সময়েই বলবে কোন পথে পা বাড়ান। তবে উনি বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে আমি আশাবাদী।”
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
অন্যদিকে, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে। আর সেই সভা থেকেই তিনি আগামী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন বলেই অনুমান করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এরআগে তৃণমূল দলের তরফে তাঁর সঙ্গে কয়েকবার আলোচনায় বসে বোঝানোর চেষ্টা হলেও বিশেষ সুবিধা হয়নি বলেও জানা গেছে। আর তাই দলের সঙ্গে যে শুভেন্দুর দূরত্ব রয়েই গিয়েছে সেই কথাই অনুমান করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই অবস্থায় গেরুয়া শিবির তাঁকে পেতে যে মরিয়া হয়ে উঠেছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। আর সেখানে সেই জল্পনাকে সত্যি করতে কখনও দিলীপ ঘোষ, কখনও অর্জুন সিং, কখনও আবার মুকুল রায়ের মতো নেতাকে শুভেন্দু অধিকারীকে আগাম স্বাগত জানাতে দেখা গেছে। যদিও এর আগে মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যত নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, তবে সাম্প্রতিকতম বক্তব্যে যেন তাঁর বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাসের সুরই ধরা পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।