
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শেষমেষ গতকাল ভ্যাকসিন পৌঁছেছে রাজ্যে। সেইসঙ্গে আর কিছুদিনের মধ্যেই মানুষের কাছে চলে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সেই করোনা ভ্যাকসিন। গত বছর মার্চ মাস থেকে যে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য মানুষ হন্যে হয়েছিল, শেষমেষ রাজ্যে তার আগমন ঘটায় আপাতত আশার আলো দেখছেন সাধারণ মানুষ। তবে এরই মধ্যে আগামী ১৭ই জানুয়ারি থেকে পোলিও অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে।
প্রধান স্বাস্থ্য সচিবের উদ্দেশ্যে ৯ তারিখে লেখা একটি চিঠিতে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে এমন করার কারণ অনিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার।কল্যাণ মন্ত্রী। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ১৬ই জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনা প্রতিষেধক টিকাকরণ অভিযান চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এই দুটি প্রকল্প একসাথে চালানো পরিপন্থী মনোভাব পোষণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণেই আপাতত পোলিও প্রতিষেধক অভিযানকে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেখানে কিছুদিন আগে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে, করোনা ভ্যাকসিন টিকাকরণের প্রকল্পের জন্য আপাতত অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলিকে পিছিয়ে দেওয়ার বা তাদের সময়সীমা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, যদিও প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এই পোলিও টিকাকরণ প্রকল্প শুরু হয়, তবে এবছর করোনার কারণে যেভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে টিকাকরণের আগে সেই ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্যই এহেন কাজ করা হচ্ছে।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রকল্প আপাতত পিছিয়ে গেলেও ভবিষ্যতে তা পুনরায় নির্ধারিত নিয়মে হবে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বছরের প্রথম দিনই বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকের পরই, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমতি দেয় ভারত বায়োটেকে ভ্যাকসিনকে।
অবশেষে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায় এই দুই ভ্যাকসিন। এর মধ্যে অক্সফোর্ড -অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে প্রস্তুত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরাম ইনস্টিটিউট এর তৈরি এই ভ্যাকসিন “কোভিসিল্ড” নামে ভারতের বাজারে আসছে। সেক্ষেত্রে সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯২-৯৫% কার্যকর এবং করোনা ভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাতে এটি ১০০% কার্যকর।