রাজ্যে ডেঙ্গুতে একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলছে। তা নিয়ে সরকার থেকে বিরোধী একে অপরকে দুষতে ব্যাস্ত। তবে ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ এরকম একটা বার্তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে জনমানসে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে যে রাজ্যে রয়েছে কেন্দ্রের প্রথম শ্রেণির গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস), তাদের কাছ থেকেও কোনো রকম সাহায্য নেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু মোকাবিলায় যে সমস্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা ঠিক ঠাক মেনে চলছে না বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে হু(ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন)র বক্তব্য-
১.ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে অথচ রক্তপরীক্ষায় ওই রোগের জীবাণু মিলছে না, তাঁদের উপরেই কড়া নজর রাখতে হবে ও তাদের আবার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
২.তাছাড়া ডেঙ্গির উপসর্গ থাকা ”অজানা জ্বর’-এ আক্রান্ত ও মৃতদের কোনও তলিকাই দেওয়া হয়নি।
৩.স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় যথাযথ তথ্য সংগ্রহ।প্রতিটি ডেঙ্গিরোগীর তথ্য আলাদা ভাবে সংরক্ষণ।রোগ ধরা না-পড়লেও ডেঙ্গির উপসর্গ থাকলেই নামের নথিভুক্তি।
৪.রক্তপরীক্ষায় রোগ নির্ণয়ের আগেই উপসর্গ দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।নমুনায় রোগ ধরা না-পড়লে সেগুলির পুনঃপরীক্ষা।