
সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ত্বের সঙ্গে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলীর সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। মুকুল রায়ও দলে যোগ দেওয়ায় রাজ্যনেতৃত্ত্বের একাংশ অখুশি বলেই জানা যাচ্ছে আর তাই মুকুল বাবুর বিজেপির রাজ্য দফতরে আলাদা ঘর পাওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে গড়িমসি চলছিল। জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের কাছে তুলে ধরেন স্বয়ং মুকুল রায় আর তারপরেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই মুকুল রায়ের জন্য ঘর তৈরি কাজ শুরু হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-র জন্যও ঘর তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ঘর তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলেই দলীয় সদর দফতরে নিয়মিত বসবেন মুকুল রায় এবং রূপা গাঙ্গুলি। তবে বাবুল সুপ্রিয় কলকাতায় আসলে তবেই বসবেন দলীয় দফতরে, এমনই নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। মুকুল রায়ের সঙ্গেও দলীয় সভাপতি অমিত শাহ কিংবা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর সম্পর্ক খুবই ভাল। আর তাই সেই যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে মুকুলবাবু এখন তৎপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা মনোমালিন্য মেটাতে। দক্ষ সংগঠক হিসাবে তিনি চান, ঘরের লড়াই শিকেয় তুলে পরিবর্তনের পরিবর্তনে কাঁধ মেলান সবাই একসাথে। এখন ভবিষ্যৎই বলবে সেই কাজে তিনি কতটা সফল হলেন।