
প্রায় অনেকদিন হয়ে গেল, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তবে তার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ফলে তিনি বিজেপিতে অত্যন্ত শক্তিশালী জায়গা পাবেন বলে মনে করেছিল একাংশ। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উল্টে বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রবল আপত্তি তৈরি হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। যার ফলে বিজেপির সাথে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তবে কলকাতা পৌরসভার একসময়কার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে গিয়েও সেভাবে কোনো প্রক্রিয়া না করতে পারায়, নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। তবে সামনেই পৌরসভা নির্বাচন।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তাই সেই পৌরসভা নির্বাচনের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এবার কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, যেহেতু শোভন চট্টোপাধ্যায় এতকাল কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন, সেহেতু তার ব্যক্তিগত ক্যারিসমাকে কাজে লাগিয়ে কলকাতা পৌরসভা সহ অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে ভালো ফল করতে চাইছে পদ্ম শিবির। সেদিক থেকে এতদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে সক্রিয় না হলেও, এবার তাকে সক্রিয় করানোর দিকে মনোযোগী হতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার সঙ্গে শোভনবাবুর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বেই আমরা কলকাতা পৌরসভা ভোটে লড়তে এবং জিততে চাই। তিনি কা করবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন।” বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, এতদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। তাই বিজেপি পৌরসভায় ভালো ফল করতে এখন তাকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করলেও, শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজি হয় কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।