ওভার-ব্রিজ, রাস্তার ডিভাইডার , প্রশাসনিক ভবন সহ একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানের রং নীল-সাদা করার নির্দেশ আগেই এসেছিল সরকারের তরফে। এবার সরকারি স্কুল বাড়ির ক্ষেত্রেও একই ফরমান জারি করল মুখ্যমন্ত্রী। বরাদ্দ করা হল ৫০০কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিরোধীদের তরফে। তাঁদের প্রশ্ন ,যেখানে সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষা ব্যবস্থার মান তলানিতে থেকেছে, সেখানে স্কুল রংয়ের জন্য ৫০০কোটি বরাদ্দ করা খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছু না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলে নীল-সাদা রং করার জন্য ৫০৪কোটি ৪০লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে ।পাশাপাশি এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, যেসব স্কুল পাঁচবছরের মধ্যে তৈরি হয়েছে, এবং যেখানে তিন বছরের মধ্যে রং করা হয়েছে ,সেগুলি ছাড়া বাকি সব স্কুল গুলিকে বাইরের অংশ নীল-সাদা করতে হবে। এবং সেই ছবি পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট কমিটিতে। এছাড়াও শিক্ষা দপ্তর সূত্রে রঙের খরচ বাবদ প্রতি বর্গমিটারে ৩০টাকা ৫৭ পয়সা ধার্য করা হয়েছে বলেই খবর। যদিও এই নির্দেশিকা জারির পর রাজনৈতিক মহলে থেকে শিক্ষামহলে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি শিক্ষানোবিশদের একাংশের দাবি, রঙের জন্য এতটাকা খরচ না করে শিক্ষা-ব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বেশি। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সাহা জানান, প্রাথমিক স্কুলগুলোর অবস্থা শোচনীয়, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, নেই ছেলে ও মেয়েদের জন্য শৌচাগার।বিদ্যুত দুরহস্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। এর মধ্যে শুধুমাত্র রং করে কোনো লাভ হবে কি?একইসুরে সুর মিলিয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পরিকাঠামোর খামতির দিকে দৃষ্টি নেই সরকারের। শিক্ষা-কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানো নিয়েও হেলদোল নেই, রং করার জন্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ কতটা যুক্তিযুক্ত?