
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান অস্বস্তির কারণ সারদা-কাণ্ড এবং নারদা কান্ড। ইতিমধ্যেই অর্থলগ্নি সংস্থার সংক্রান্ত মামলার জেরে বেশকিছু তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে শ্রীঘরে থাকতে হয়েছিল তৃণমূলের বেশকিছু জনপ্রতিনিধিকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা বিরোধীদের কাছে হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। আর এবার নারদ কান্ডে প্রকাশ্য ভিডিওতে তৃণমূলের একাধিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে টাকা নিতে দেখা যাওয়ার ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিশ পৌঁছে গেল তৃণমূলের তিন শীর্ষ নেতার কাছে।
সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে ইডির পক্ষ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশ পাঠানো হয়েছে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র এবং সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা গেছে, এই তিনজনই নারদা মামলায় যুক্ত। তাই তাদের কাছে বেশ কিছু তথ্য জানতে চেয়ে তাদেরকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রের এই তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই হাতে যখন আর কয়েকটা মাস বাকি বিধানসভা নির্বাচনের, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নারদ কান্ডে তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতাকে এই ধরনের নোটিশ পাঠানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
বস্তুত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, বিরোধী শাসিত যে সমস্ত রাজ্য আছে, সেখানকার নেতা-নেত্রীদের তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে হেনস্তা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সামনের 2021 সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি বাংলাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে নারদা কান্ডের মামলার ফাইল খুলে যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের এক সাংসদ এবং এক হেভিওয়েট নেতাকে নোটিশ পাঠানো হল, তাতে তৃণমূলের ঘুম ক্রমশ উড়ে যেতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একাংশের মতে, এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক চাপে পড়বে। ইডির পক্ষ থেকে এই ধরনের নোটিশ শাসকদলের তিন শীর্ষ নেতার কাছে পৌঁছে যাওয়ায় এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তা অবশ্যই দেখার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ধরনের নোটিশকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শাসক-বিরোধী তরজা চরম আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
ঠিক কি জানতে চেয়ে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে? জানা গেছে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি ফিরহাদ হাকিম। একইভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মদন মিত্র এবং প্রসূন বন্দোপাধ্যায়ের। তবে শাসকদলের অন্দরমহলে ইতিমধ্যেই এই নোটিশকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হতে শুরু করেছে।
নারদা কান্ডে প্রকাশ্য ভিডিওতে বেশ কয়েক বছর আগে বেশ কিছু নেতা, মন্ত্রী-সাংসদদের টাকা নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপর থেকেই আলোড়ন তৈরি হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে এই নারদা কান্ডে সেভাবে এতদিন কাউকে ডাকা হয়নি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর কয়েক মাস বাকি, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৎপরতা গ্রহণ করতেই তৃণমূল যে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবে, তাতে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা । তাদের মতে নতুন অস্ত্র হাতে পেলো শাসকশিবির! সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, ইডির নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।