
যত এগিয়ে আসছে সবং উপনির্বাচনের দিন, তত চড়ছে রাজনৈতিক উষ্ণতার পারদ। রাজ্যের একমাত্র আসনে উপনির্বাচন কিন্তু সেই নির্বচনও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আসন্ন সবং বিধানসভার উপনির্বাচনে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তারমধ্যে চলতি সপ্তাহেই সবংয়ে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে যাবে, রুট মার্চ শুরু হবে।
কমিশন সূত্রে আরো জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপ্রবণ বুথগুলো চিহ্নিত করে কোথায় কত বাহিনী লাগবে তার প্রাথমিক পরিকল্পনাও করা হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-বামফ্রন্ট-কংগ্রেস একযোগে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকি রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা যান তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা, যার জন্য অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছিল তৎকালীন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভূঁইয়ার দিকে, যিনি বর্তমানে শাসক শিবিরে। আর তাই আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গোটা বিধানসভা এলাকা নাকাবন্দি করে রাখার জন্য আবেদন জানান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপির সুরে সুর মেলান বাম প্রার্থী রীতা জানাও। যদিও এই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়াকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী এলেও বিজেপি চতুর্থ হবে।