
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার সভা থেকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে দলীয় সভায় যোগ দিতে এসে সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।
সূত্রের খবর, এদিন বহরমপুরের রবীন্দ্রভবনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ওরা সব সময় সিবিআইয়ের মত নিরপেক্ষ সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে। যে কোনো নির্বাচনের আগে এটা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিবিআই সরকারের অধীনে নয়, নিরপেক্ষ। কিন্তু এই সংস্থার এখন নিরপেক্ষতা নেই। সুপ্রিম কোর্ট তোতাপাখি বলেছে। নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার চাপ সৃষ্টির জন্য এসব করে। এইসব করে লাভ হবে না। 2021 সালেও তৃণমূল আরও অনেক বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।”
স্বভাবতই নির্বাচনের আগে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সরব হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হতে শুরু করেছেন। এদিন সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অধীর চৌধুরীর নাম না করে তিনি বলেন, “উনি বামেদের প্রোডাক্ট। সেই দলের প্রতি তার আকর্ষণ থাকা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু বামেরা ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইছে না। ও মুখ হবে না। এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মুখ নেই। তিনি সবসময় মানুষের কথা ভাবেন। মানুষের হয়ে কাজ করেন। তাই তিনি আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন।”
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
এদিকে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প প্রসঙ্গেও এদিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, সেই ব্যাপারেও নিজের মতামত পোষণ করেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে কেউ গণতান্ত্রিক ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে তিনটি দপ্তরের দায়িত্ব নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা অপরিসীম, তা বাংলার মানুষ জানেন।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের এদিনের মন্তব্যের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইকে নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য। যেভাবে নির্বাচনের আগে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন এই হেভিওয়েট মন্ত্রী, তাতে বিজেপির অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেল। নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ভয় দেখাতে বিজেপির পক্ষ থেকে সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। আর এবার পশ্চিমবঙ্গকে যখন পাখির চোখ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন বহরমপুরে উপস্থিত হয়ে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী তরজা ক্রমশ জমজমাট বঙ্গ রাজনীতিতে।