
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ, নিজের সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। অন্যদিকে জোট বদ্ধ হয়েছে বাম,কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির দল। তবে, নির্বাচনের ফলাফল যদি ত্রিশঙ্কু হয়, তবে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার গড়বেন বলে দাবি করলেন শীর্ষস্থানীয় সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।
আজ বামেদের ডাকা ব্রিগেডে বক্তব্য রাখলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। সভামঞ্চে তিনি জানালেন যে, তাঁকে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, যদি ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়, তবে কি করবে বাম নেতৃত্ব? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, সেকথা মুখ্যমন্ত্রীকেই জিজ্ঞাসা করতে। তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করেন। এটাই তাঁর চরিত্র। ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে তিনি বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার গঠন করবেন। তিনি জানালেন, রাজ্যে সারোদা, নারোদা হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল একই বলে, কটাক্ষ করলেন তিনি।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে এনডিএ জোটে যোগদান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলে রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে একসময় তিনি যোগদান করেছিলেন ইউপিএ জোটে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একলা চলার নীতি নিয়েছেন তিনি। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যদি ত্রিশঙ্কু হয়। তবে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গে সমঝোতায় আসবেন। এরকম দাবি একাধিকবার করতে দেখা গেছে সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীর মত বামপন্থী নেতাদের। এবার একই ধরনের বক্তব্য রাখতে দেখা গেল শীর্ষস্থানীয় সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকেও।
সীতারাম ইয়েচুরি জানালেন যে, হিন্দু ও মুসলমানের রাজনীতি করছে বিজেপি। বিজেপি হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। কিন্তু তাঁরা লুঠপাটের সরকার বা জাতপাতের সরকার চান না। তাঁরা জনহিতকর সরকার চান। তিনি অভিযোগ করেন যে, সারা দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। বিজেপিকে কারা প্রচুর অর্থসাহায্য দিয়ে থাকেন? তা তিনি জানেন না।
সিপিআইএমের শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানালেন যে, আজকের ব্রিগেড সমাবেশই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বাংলায় পরিবর্তন আনবে এই সংযুক্ত মোর্চা। তিনি জানান, দিল্লিতে চলছে কৃষক আন্দোলন। বহু মানুষ আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামান্য ভ্রূক্ষেপ পর্যন্ত নেই। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষকদের পাশে দাঁড়াবার কোন ইচ্ছাই নেই। মোদি সরকার ক্ষমতাচ্যুত না হলে এই আন্দোলন চলবেই। সংযুক্ত মোর্চার জন্ম এই সময়েই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ভোটের সময় কেন অর্থসাহায্য দেয়া হচ্ছে? কেন এই সময়ে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করা হচ্ছে? ঘুষ দেওয়া হচ্ছে কি?