
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের জেরে লকডাউনে ভারতের প্রায় সমস্ত কর্মক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে কর্মক্ষেত্রের ভাগ্য। সেইসঙ্গে এই সমস্ত কর্মক্ষেত্রগুলিতে চাকরি করা কর্মীদের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বহু সংস্থায় নতুন করে নিয়োগ বন্ধ।সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসিং ও চাকরির বাজার প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বহু চাকরিতে চলেছে ছাঁটাই। সেইসঙ্গে অনেক সংস্থাই কম কর্মী নিয়োগের পথে হাঁটছে। যদিও ভারতের চাকরির বাজার ফেরাতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল অনেক ক্ষেত্রেই। আর এরই মধ্যে নতুন বছরে অনেক সরকারি চাকরির ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে বহু পূর্ত দপ্তরে পদ খালি থাকলেও ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির সুযোগ নেই বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁদের।
সম্প্রতি সল্টলেকে স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের শততম বার্ষিক সভা উপলক্ষে রাজ্যের পূর্ত ও সেচ বিভাগের সমস্ত সদস্য ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ভার্চুয়ালি একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। আর শনিবার sri বার্ষিক সাধারণ সভাতেই এমনই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে যে, বর্তমানে বহু ক্যাডার-পদ পূরণ না-হওয়ায় অনেক ইঞ্জিনিয়ারেরই পদোন্নতি আটকে গিয়েছে।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
শুধু তাই নয়, এর ফলে পিএসসি-র মাধ্যমে পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে আরো একটি বিষয় নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, নিয়োগ আটকে রেখে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের পুনর্নিযুক্ত করে, তাদের জন্য দফতরের কোটি কোটি টাকা খরচ করার কারণ কি? সেইসঙ্গে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ক্যাডার পোস্টে পুনর্নিয়োগ বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
যদিও সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাজীব বিশ্বাসের তরফে জানানো হয় যে, সরকারের যে-কোনও নির্দেশ পালন করতেI তাঁরা প্রস্তুত। সেইসঙ্গে সরকার তাঁদের দাবিগুলো মেনে নিলেও তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ত দফতরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৭টি ক্যাডার-পদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফের পদ এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ছ’টি পদ খালি রয়েছে। এছাড়া এক্স-ক্যাডার পদে দু’জন চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অবসরের পরেও তাঁদের পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে।