
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী 42 এ 42 টি আসন দখল করার স্লোগান দিলেও রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ধ্বস নেমেছে শাসক দলের ভোটব্যাঙ্কে। মোটে 22 টি আসন তৃনমুল তাদের ঝুলিতে পুড়লেও বিজেপি 18 টি আসন নিজেদের দখলে রেখে শাসকদলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে।
আর লোকসভায় বিজেপির এই অভাবনীয় ফলাফলের পরই দিকে দিকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে শুরু করেছেন।যাতে চিন্তার ভাঁজ আরও প্রকট হয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনিতেই এবারের লোকসভায় দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূল কিছুটা সন্তোষজনক ফল করলে উত্তরবঙ্গে তারা একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। আর এবার ফের সেই উত্তরবঙ্গেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল।
সূত্রের খবর, সোমবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সাত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে এর আগে এই পঞ্চায়েত সমিতির 10 জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করার পরে এদিন ফের সাত জন যোগদান করায় 29 আসন বিশিষ্ট তুফানগঞ্জ 2 পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে চলে এল।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
প্রসঙ্গত, এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক। আর তার জয়লাভের পরই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের অন্দরে ভাঙ্গন দেখা দিতে শুরু করে।
ইতিমধ্যেই এখানকার 128 টির মধ্যে প্রায় 30 টি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে এসেছে। আর এদিন যখন দিল্লিতে নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ ও গারুলিয়া পৌরসভার কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগদান করছেন, ঠিক তখনই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ 2 পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে চলে আসায় তীব্র উচ্ছসিত গেরুয়া শিবির।
তবে এটাই শেষ নয়, আরও অনেকেই শাসক দল ভেঙে বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেছে বিজেপি নেতাদের গলায়। অন্যদিকে দলবদলের এই পালা প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, ভয় দেখিয়ে ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিছু মানুষকে বিজেপি নিজেদের দিকে টানলেও আদতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই রয়েছেন। তবে যে দল যাই বলুক না কেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে তৃণমূল ভেঙে জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন, তাতে রাজ্যে বিজেপি তাদের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে।