
সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যার পরেই সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করার পরই তা আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই তার বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে বিজেপি বিরোধীতার প্রথম এবং প্রধান অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি থাকতে কোনভাবেই এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ একাধিক জায়গায় মিছিল করে “নো ক্যাব, নো এনআরসি” স্লোগান তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তবে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে যেমন নিজের দলের মূল সংগঠনকে রাস্তায় নামিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই দলের সমস্ত শাখা সংগঠনকেও এই ব্যপারে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই মত তৃণমূল ছাত্র-যুব থেকে শুরু করে বেশিরভাগ শাখা সংগঠন ময়দানে নেমেছিল। আর এবার এই আইনের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষক সমিতি।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের 15 তারিখ থেকে বিভিন্ন জেলায় প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে বলে প্রচার করা হবে। জানা গেছে, রবিবার এই ব্যাপারে তৃণমূলের এই সংগঠনের শিক্ষকরা রানী রাসমণি রোড থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত একটি মিছিল করেন। আর এতদিন শুধুমাত্র রাস্তায় নেমে তৃণমূল এই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করলেও, এবার তৃণমূল পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির সদস্যরা যেভাবে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ব্যাপারে প্রচার করবে বলে জানিয়ে দিল, তাতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছে একাংশ।
এদিন এই প্রসঙ্গে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, “এই মাসের 15 তারিখ থেকেই আমরা জেলায় জেলায় যাব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আইনের বিরুদ্ধে সবাইকে বোঝানো হবে। দেশের সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। আমাদের দাবি, এই ধরনের সম্প্রীতি বিরোধী আইন বিলোপ করা হোক।”
বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, তৃণমূল যখন এই আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করছে, তখন বিজেপি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আইনের সুফল সম্পর্কে সকলকে বোঝাতে শুরু করেছে। আর তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এই শিক্ষক সংগঠন বিজেপির প্রচারকে মাত দিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আইনের কুফল তুলে ধরে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই আইনের পক্ষে থাকা ব্যক্তি, না বিপক্ষে থাকা ব্যক্তিদের জয় হয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।