অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর খসরা তালিকা থেকে অনেকেরই নাম বাদ পড়েছে। যাদের কার্যত এখন দিশেহারা অবস্থা। আবার কেউ কেউ নাম না বাদ পড়া সত্তেও বাড়ির মহিলাদের বাংলার আলিপুরদুয়ারে আত্মীয়র বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এনআরসি করা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে মাঠে নেমেছে বিজেপিও।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
——————————————————————————————-
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
জানা গেছে, অসম থেকে আসা বাসিন্দাদের বাংলাতে ঢোকা আটকাতে কুমারগ্রামের পতাকাগুড়িতে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পেরও দাবি তোলা হয়েছে। যদিও বা আসাম থেকে এরকম কোনো ব্যাক্তি বাংলায় ঢুকছে সে ব্যাপারে তাঁদেল কাছে কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। তবে তাঁর অনুমান, অসমে বিয়ে হয়েছে আর বাংলায় বাপের বাড়ি এমন ব্যাক্তি আসতেই পালেন। ওঁরা শরনার্থী নয়।
এদিকে শরনার্থীদের আটকাতে যে নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় কোনো খামতি নেই। এমনকী পাকাগুড়িতে এ নিয়ে একটি নাকা চেকিং ক্যাম্পের কথাও জানান উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার। তবে শরনার্থীদের ঠাঁই দিতে তাঁরা যে কোনও কসুর করবেন না সেব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির তৃনমূলের বিদায়ী সদস্য উত্তম দাস। তিনি বলেন, ” প্রতিবেশীদের তো আর ফেবে দেওয়া যায় না। আমরা তাই তাদের অবশ্যই আশ্রয় দেব।”
অন্যদিকে আত্মীয় আছে এরূপ বলে এরাজ্যে আসামেল শরনার্থীরাই ঢুকছে আভিযোগ করে তৃনমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, “আসামের আত্মীয়দের তৃনমূল জামাই আদর করছে। রাজ্য কমিটিকে জানানো হবে।” তবে আসাম থেকে এরাজ্যে এখনও কেউ আসেননি। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তুফানগঞ্জের তৃনমূল বিধায়ক ফজল করিম মিঞার। সব মিলিয়ে শরনার্থী ইস্যুতে তৃনমূল বিজেপি চাপানউতর কোচবিহারে।