
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির চাপানউতোর যেরকম বেড়ে চলেছে, ঠিক সেরকমই নির্বাচন কমিশনের কড়া নজর বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনায় এদিন নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। আর তারপরই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় পুলিশ কর্তাদের রদবদল। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এদিন রাজ্য পুলিশের কর্তারা বৈঠকে বসেন।
এবং সেখানেই একাধিক জেলার পুলিশ কর্তারা যে রিপোর্ট পেশ করেন, তাতে সন্তুষ্ট হননি উপ নির্বাচন কমিশনার। যথারীতি নির্বাচন কমিশনকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে রাতারাতি রাজ্য পুলিশের উচ্চস্তরে রদবদল হয়ে গেল। এদিন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরকে রাতারাতি বদলি করে দিল নবান্ন। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে সিআইডির ডিআইজি পদে। অন্যদিকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নতুন যুগ্ম কমিশনার হলেন শিলিগুড়ি এসটিএফের অমরনাথ কুমার।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
তিনি এর আগে এসপি পদে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের উপ নির্বাচন কমিশনার উত্তর 24 পরগনার রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এদিন রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে। এবং এই বৈঠকে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা পুলিশকর্তারা যে উত্তর দেন, তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি উপ নির্বাচন কমিশনারকে। যথারীতি প্রশাসনের দিকে যাতে আর কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন আঙ্গুল তুলতে না পারে, তাই রাতারাতি নবান্নের নির্দেশ প্রতিফলিত হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।
অন্যদিকে আর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠক হতে চলেছে। সেখানেও যদি নির্বাচন কমিশনের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়, তাহলে কি প্রশাসনিক কর্তাদের অদল-বদল করবে নবান্ন? লাখ টাকার প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তবে সবটাই যে বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে হতে চলেছে সেকথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এবারের নির্বাচন হতে চলেছে টানটান উত্তেজনায় ভরা।