
গতকাল সন্ধ্যে থেকেই কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতে থাকে যে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসকদলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী দলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নিকট আত্মীয়কে বেশি গুরুত্ত্ব দেওয়ায় এবং দল তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী তাঁকে ঠিকভাবে ব্যবহার না করায় নাকি ভীষণ ক্ষুব্ধ। আর এনিয়ে তিনি নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি আগামী ২০২১ সালে তাঁকে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে যেতে চায়, ফলে তিনি সদলবলে আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। যদিও শুভেন্দু বাবু নিজে এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাবেন না।
আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়ে দিলেন সবং বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়লাভ করায় পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে এনে সেখানে বিজয় সমাবেশ করবে তৃণমূল। তিনি জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর সবং হাইস্কুল মাঠে এই সমাবেশ হবে। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী-সমর্থক জমায়েতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সবং উপনির্বাচনের আগে প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। একাধিক সভা ও পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তেমাথানিতে শেষ প্রচারে দলীয় প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়াকে মানস ভুঁইয়ার চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বিজয় উৎসবে যোগ দিয়ে সবাইকে অভিনন্দন জানানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই উপনির্বাচনে শাসকদলের হয়ে সাংগঠনিক দিক বকলমে তিনিই সামলান। আর তাই, ভোটে গীতারানি ভুঁইয়া মানসবাবুর চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে এবার শুভেন্দুবাবুকেই মধ্যমনি করে বিজয় উৎসব করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানা যাচ্ছে।