
হকার উচ্ছেদ মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন সেক্টর ফাইভের আন্দোলনরত হকাররা। আগামী ৩০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করে কলকাতা আদালত জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ওই এলাকা থেকে কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা যাবে না, সমস্ত প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, হকার উচ্ছেদ ঘিরে গত শুক্রবার কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বাংলার আইটি হাবের পীঠস্থান সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। উচ্ছেদের প্রতিবাদে, ওইদিন সকাল থেকেই সেখানে বনধ ও বিক্ষোভে নামেন ওই অঞ্চলের হকাররা। তাঁদের দাবি ছিল, প্রথমত, বিনা আগাম নোটিসে তাঁদের উচ্ছেদ করা যাবে না। আর দ্বিতীয়ত ও অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন, সঙ্গে করতে হবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও।
ওদিকে কর্তৃপক্ষও জানায়, ওই অঞ্চলে মাত্র ৭৫০ দোকানের অনুমতি থাকলেও, সেখানে ব্যবসা করছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মত দোকান। ফলে উচ্ছেদ করা ছাড়া উপায় নেই – আর তাই নিয়েই ঝামেলা অনেকদূর গড়ায়। এই পরিস্থিতিতে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, শুধুমাত্র বৈধ দোকানদারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
আর পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে কার্যত নিরুপায় হয়ে শেষপর্যন্ত কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সল্টলেক সেক্টর ফাইভের হকার ইউনিয়ন। সেই মামলার ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছেন মাননীয় বিচারপতিরা। স্বভাবিকভাবেই আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে হকাররা – ফলে রায় সামনে আসতেই রীতিমত আবিরখেলা শুরু হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যথাযথ হকার বিধি চালু না হওয়ার দিকটি তুলে ধরা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হকার বিধি কার্যকর করা এখনও সম্ভবপর না হয়ে ওঠায় রুটি-রুজির টানে বাধ্য হয়েই সেক্টর ফাইভের রাস্তার ধারে দোকান চালাতে হচ্ছে হকারদের বলে জানান মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী। আর এই দাবী অমান্য করতে পারেননি সরকারি পক্ষের আইনজীবীও। ফলত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ৩০ শে আগস্টে – তখনই জানা যাবে কি আছে হকারদের ভাগ্যে।