গত শুক্রবার প্রথমবারের জন্য বিজেপির প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে নিজের বক্তব্য রাখেন তৃণমূল ত্যাগী নেতা মুকুল রায়। আর প্রথমবারেই তিনি তাঁর আক্রমনের তীর রাখেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড-হারবারের মাননীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের মাননীয় মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। সেখানে মুকুলবাবু বিভিন্ন নথি দেখিয়ে অভিযোগ আনেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র হিসাবে খ্যাত ‘জাগোবাংলা’ পত্রিকাটি আসলে ডায়মন্ড-হারবারের মাননীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন।
স্বাভাবিকভাবেই এইরকম একটি সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে অভিযোগ তোলায়, বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সমস্ত বিতর্কে জল ঢালতে এই নিয়ে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের মাননীয় মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমার বাড়ি থেকে পত্রিকা চলত আর তা চালাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেতন থেকে টাকা দিতেন। কিন্তু এরপরই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাজনৈতিকমহল থেকে প্রশ্ন উঠে যায়। পার্থবাবু কিভাবে এতবড় ‘ভুল’ করলেন? মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখেই বারবার জানিয়েছেন, তিনি দেশের রেলমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একটাকাও বেতন নেন না, চাটুকুও নিজের তাজায় কিনে খান। তাহলে তিনি বেতন না নিলে সেই বেতনের টাকায় পত্রিকা চালানো হাত কি করে? যদিও শাসকদলের একাংশ থেকে দাবি করা হয়েছে ‘বেতন’ কথাটা ভুল করে এসেছে, আসলে বলতে চাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় পত্রিকা চলত। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লেখা প্রায় ৭০ টি বই আছে, এছাড়াও আরও অনেক ‘ক্রিয়েটিভ আর্টের’ সাথে তিনি যুক্ত, সেই থেকেই যা রোজগার সেই টাকাতেই পত্রিকা চলত। এই নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।
‘জাগো বাংলা’ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ‘সাফাইয়ে’ নতুন করে বিতর্ক শুরু
আপনার মতামত জানান -