আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে দলের কার্যকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ত্ব। সেখানে সরাসরি কিছু না বললেও কর্ণাটক ও বাংলা নিয়ে বেশ ‘বড়সড় ইঙ্গিত’ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার ফলে জল্পনা চরমে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথমে তিনি কর্ণাটক নিয়ে বলেন। সেখানে তিনি জানান, কর্ণাটকবাসীকে আমি নিশ্চিন্ত করছি কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ দিন উজ্জ্বল করতে কোনো ফাঁক রাখবে না ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠে যায়, কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এখনো ৮ টি আসনের দরকার বিজেপির, তারপরেও প্রধানমন্ত্রী ‘কর্ণাটক-বিজয়’ নিয়ে মুখ খুলে আগামীদিনের কথা বলছেন? তাহলে কি কর্নাটকে সরকার গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিজেপি? ওই ৮ টি আসনের খামতি পুষিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা সারা?
আর এরপরেই বক্তব্যের শেষের দিকে তিনি বলেন, আরেকটি বিষয়ে কথা না বলে আমি থাকতে পারছি না। কেননা সেই বিষয় নিয়ে আমি অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল, কিন্তু সেখানে গণতন্ত্রকে যেভাবে ধ্বংস হতে আমি সহ গোটা দেশ উদ্বিগ্ন। আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করার জন্য একথা বলছি না, বাংলায় গণতন্ত্রের বুকে যে ক্ষত কাল হয়েছে তাতে শুধু বিজেপি কর্মীরাই প্রাণ হারাননি, প্রাণ হারিয়েছেন আরও অনেকে। দেশের কোথাও গণতন্ত্র এইভাবে লংঘিত হলে তা আমাকে ভাবায়, আমি দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার চেষ্টা করি। আর তাই যে বাংলার বুকে একের পর এক মনীষী জন্মেছেন, যাঁদের বুদ্ধিমত্তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে, সেখানে শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য, এইভাবে গণতন্ত্রকে লংঘিত হতে দেখে আমি মেনে নিতে পারছি না। আর স্বভাবিকভাবেই, এইভাবে বাংলার কথা দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে বলে এবং বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে তাঁর ‘বিশেষ নির্দেশে’ বাংলার গণতন্ত্রের ‘ক্ষত’ সারাতে অমিত শাহ বিশেষ পদক্ষেপ নেবেন? যদিও তিনি স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি, কিন্তু দেশের দুই প্রান্তের দুই রাজ্য নিয়ে তাঁর ‘ইঙ্গিত’ যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে সেকথা বলায় বাহুল্য।