রাজনৈতিক দূরত্ত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল অনেকদিনই, কিন্তু রাজনীতির গন্ডি ডিঙ্গিয়ে এবার তা আদালতে টেনে নিয়ে গেলেন একসময়ের তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর মুকুল রায়, তাও আবার তাঁর তৎকালীন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপিতে যোগ দিয়েই মুকুলবাবু বিস্ফোরক ভাবে দাবী করেন, বেশ কিছুদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর এবং রাজ্যের বেশকিছু শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতছে। এটি শুধু গর্হিত কাজই নয়, এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক ও অপমানকর। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান তিনি, কিন্তু সেখানেই থেমে না থেকে সরাসরি দিল্লি হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন, আদালত তা গ্রহণও করে।
মুকুল রায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমন মামলা এর আগে হয় নি, মুকুলবাবু নিজে জানিয়েছেন প্রবল বাম জমানাতেও বামফ্রন্ট সরকার এইভাবে বিরোধীদের উপর থেকে গণতন্ত্র কেড়ে নেয় নি। তাছাড়া এই একই অভিযোগে মুকুলবাবু গেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে আর মুকুলবাবু যদি নিজের অভিযোগ প্রমান করতে পারেন, তাহলে এব্যাপারে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া, মুকুলবাবু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, আদালতে এই ‘ফোন ট্যাপিংয়ের’ ব্যাপারে কি হয় দেখে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ ফেলবেন। কেননা তাঁর ফাইলে এখনো নাকি অনেক কিছু বাকি আছে যা টলিয়ে দেবে গোটা শাসকদলকে। আর তাই আজ দিল্লির দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিকমহল।
আজ দিল্লিতে মুকুল বনাম মমতা, উৎকন্ঠা রাজনৈতিকমহলে
আপনার মতামত জানান -