
আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মুকুল রায়। সেই মুকুল রায় খুব ভালোমতোই জানেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে আর তাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তৃণমূলের ঘর ভাঙ্গার দিকে নজর দেন তিনি। একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ, সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে আসতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।
সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মুকুল রায় জানিয়ে এসেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা তার প্রধান লক্ষ্য। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অস্বস্তি তিনি যে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে পাল্টা অস্বস্তিতে ফেলতে ময়দানে নেমে পড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যেখানে মুকুল রায়কে “বহিরাগত” বলে চাপে ফেলা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৈনিক। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বস্তুত, বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলায় যখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বহিরাগত বলে দাবি করা হচ্ছে। যার জেরে অনেকটাই চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে বহিরাগত বলে চাপে ফেলে দিলেন কুনাল ঘোষ।
সূত্রের খবর, এদিন তৃনমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “মুকুল রায় এখন বাংলার ভোটার নন। বাংলার ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। বাংলার ভোটার তালিকায় নাম কেটে মুকুল রায় দিল্লিতে নাম তুলেছেন। তিনি এখন খাতায়-কলমে দিল্লির ভোটের। যিনি বাংলা থেকে নাম কেটে দিল্লির ভোটার হন, তাকে কি বাংলার লোক বলা উচিত? বাংলার বাসিন্দা, বাংলাভাষী, বাঙ্গালী হয়েও তিনি তার বাঙালিসত্ত্বার জলাঞ্জলি দিয়েছেন দিল্লির ভোটার হয়ে। তাই তাকে সব থেকে বড় বহিরাগতর তকমা দেওয়া যায়।”
একাংশের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভেঙে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কুনাল ঘোষ ময়দানে নেমে সেই মুকুল রায়কে ব্যাকফুটে ফেলার জন্য তাকে পাল্টা বহিরাগত বলে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। যাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে বাংলার রাজনীতি। এখন কুণাল ঘোষের এই জবাবে বিজেপির পক্ষ থেকে বা মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।