দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এক পুরনো শিল্প যুগ যুগান্তরের হাত ধরে। আর তা হল যাত্রাশিল্প। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন যাত্রা উৎসবের। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রা অনেকটাই পিছনে চলে গেছে প্রযুক্তি উন্নত পরিকাঠামোর কারণে। এখন মানুষ ঘরে ঘরে সিনেমা, ওয়েব সিরিজের ভিড়ে যাত্রা শিল্পের সেই রমরমে বাজার। আর সেই পিছনের সারিতে চলে যাওয়া যাত্রা শিল্পকে বেশ কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব। তবে এবার দেশের বেশ কিছু সমস্যাকে যাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার যাত্রা দলের মাধ্যমে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইস্যুগুলি বর্তমানে প্রবলভাবে দেশের মানুষের মনে কাজ করে চলেছে। সেগুলি যাত্রার মাধ্যমে এবার বাংলার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি যাত্রার কাহিনীকারদের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিএএ, এন আরসি, এনপিআর নিয়ে লিখতে এবং যাত্রাপালার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামে সেগুলি প্রচার করতে ইতিমধ্যে যাত্রা উৎসবের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দরিদ্র যাত্রাশিল্পীদের জন্য বছরে 10 হাজার টাকা বৃদ্ধি করেন। এর আগে যাত্রাশিল্পীদের বছরের 15 হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ‘গ্রামের মানুষের কাছে যাত্রা পালা খুবই জনপ্রিয়। এটি গ্রামীণ বাংলার আসল বাস্তবতা, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশার প্রতিফলন ঘটায়। তাই যদি সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের মতো বিষয়গুলিকে যাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, তবে তা গ্রামের মানুষের কাছে সরাসরি ও গভীর প্রভাব ফেলবে।’
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ বিরোধিতায় এবার অন্যরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তিনি তাঁর দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার গ্রামবাংলার কোণায় কোণায় পথনাটিকার মাধ্যমে সিএএ, এনআরসির কুপ্রভাব বর্ণনা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, ‘আমাদের ছাত্র শাখার সদস্যদের এ ধরনের ছোট ছোট পথনাটিকার চিত্রনাট্য তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় এলাকায় তা মঞ্চস্থ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, বিজেপিও কম যায়না। তৃণমূলের এই পদক্ষেপের পাল্টা রাজ্য বিজেপি সংশোধনী আইনের সমর্থনে অন্যরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বোঝাতে সারা রাজ্যের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। সাথে এইসংক্রান্ত নির্দিষ্ট পুস্তক এবং লিফলেট বিলির কথাও বলা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের নির্দিষ্ট করে ওবিসি ভোটারদের কাছে সংশোধনী আইন নিয়ে বোঝানোর জন্য।
যেভাবে পশ্চিমবঙ্গসহ সারা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ সমুদ্রের ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ছে। এবার সেই ঢেউকে বাদ দিতে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তর থেকে একটি গেজেটের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আর এরপরেই সারা দেশের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিক্ষোভ দ্বিগুণ বেগে আছড়ে পড়ছে দেশের কোণায় কোণায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে সাধারণ মানুষের আপত্তিকে কোনরকম আমল না দিয়ে তড়িঘড়ি আইন বলবৎ করা হলো তা নিয়ে ভবিষ্যতে বিজেপিকে চিন্তায় পড়তে হতে পারে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।