শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়কের, জোর জল্পনা! রাজ্য হাওড়া-হুগলি March 7, 2020 বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি গঠন হল আড়াই মাস হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই তা ফের ভেঙে দেওয়ায় এখন তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে ডোমজুড়ে। আর তা নিয়েই এখন ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডোমজুড়ের ঝাঁপড়দহ ডিউক ইনস্টিটিউশনে গত বছরের 11 নভেম্বর পরিচালন সমিতি গঠন করা হয়েছিল। যেখানে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সভাপতি এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির নাম সেই কমিটির জন্য সুপারিশ করেন। আর এরপরই শিক্ষা দপ্তর থেকে তার সীলমোহর পাওয়ার পর পরিচালন সমিতি গঠন হয়। তবে তা গঠন হওয়ার পর থেকেই শিক্ষকদের একটি অংশের সঙ্গে সেই সমিতির সদস্যদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অভিযোগ, স্কুলের অনেক শিক্ষকদের নিয়মশৃংখলার অভাব দেখে প্রতিবাদ করবার জন্য পরিচালন সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্যকে অপদস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষকদের সাথেই পরিচালন সমিতির সদস্যরা অপমানজনক আচরণ করেন বলে পাল্টা দাবি শিক্ষকদের। আর এই পরিস্থিতিতে গত 18 ফেব্রুয়ারি শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকেই পরিচালন সমিতির ভেঙে দেওয়া হলে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। জানা গেছে, বর্তমানে সেই স্কুলে হাওড়া সদর মহকুমা শাসককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পরিচালন সমিতি ভাঙার খবর পেয়েই তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গনি। এদিন এই প্রসঙ্গে পরিচালন সমিতির সভাপতি অসিত হাজরা বলেন, “সমিতি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি একতরফা। এটি ভেঙে দেওয়ার আগে আমাদের বক্তব্য শোনার দরকার ছিল। সেটা করা হয়নি। স্কুলটিতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা তা শোধরানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ পেলাম না। শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কাজ না হওয়ার জন্যই আমরা বিষয়টি বিধায়ককে জানিয়েছি।” ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গণি বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকায় এই স্কুলের পরিচালন কমিটি আমার সুপারিশে গঠিত হয়েছিল। পঠন-পাঠন এবং অন্য কিছু সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তা কায়েমি স্বার্থে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। বিষয়টি আগেই শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। তাতে কাজ না হওয়ার জন্যই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি।” এদিকে গোটা বিষয়ে যে তিনি প্রবল বিরক্ত, তা উঠে এসেছে শিক্ষামন্ত্রীর গলাতে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চিঠির অনুলিপি আমি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে এত বিতর্কের কি আছে! ভেবেচিন্তেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দরকার হলে বিধায়ক আমার সঙ্গে কথা বলুন।” তবে শিক্ষা মন্ত্রী যে কথাই বলুক না কেন পরিচালন সমিতি গঠনের সাথে সাথেই তা ভেঙে দেওয়া নিয়ে যেভাবে সরব হলেন তৃণমূলের বিধায়ক, তাতে সরকারপক্ষ অনেকটাই চাপে পড়লে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -