উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়া দুই অঞ্চলেই উপনির্বাচন শেষ। তবে ভোট নিয়ে অভিযোগ থেকেই গেছে। বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে বেশ কত গুলি অভিযোগ এনেছে। বিজেপির দাবি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে , তার পরীক্ষার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত। বিজেপির তরফে অভিযোগ যে ভোটের দিন ভোটার দের ভোটাধিকার হরণ করে শাসক দল যার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েও লাভ হয়েনি বলে খবর। সমগ্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান,” পশ্চিমবঙ্গে ভোট চালচিত্রের ব্যতিক্রম হয়নি। জোর করে ভোট নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। জোর জবরদস্তি ভোট করানোর চরিত্র হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।” পাশাপাশি দলীয় সভাপতি শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন, ” যত দিন যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের মতামতকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কথা বলে শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রীর এই জনপ্রিয়তা পরীক্ষার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত।” যদিও ভোটের শেষে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন,” ভারতীয় গণতন্ত্রের বাইরে কি পশ্চিমবঙ্গ? তাহলে নির্বাচনের আগে সাধারন মানুষ কেন প্রশ্ন করেন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না? ” কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো কে তিনি গণতন্ত্র বিরোধী বলে ব্যক্ত করেন।তিনি জানান ভোট শান্তিপূর্ণ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এদিন রাজ্য বিজেপি সাধারন সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরি জানান, ” পশ্চিমবঙ্গে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, এইদুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও সেই পদ্ধতিতেই ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। ” বারবার কেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ ব্যার্থ তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করছে এবং করবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সাধারন সম্পাদক।
সাধারণ মানুষের মতামতকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র সমালোচনা বিজেপির
আপনার মতামত জানান -