
কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন আজ এইচ ডি কুমারস্বামী(জে ডি এস)। অন্যদের মতো এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কুমারস্বামীকে। জানা যাচ্ছে আজ বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছেন তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি হবে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। কুমারস্বামীকে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেলেন তিনি নেত্রী।সেটাই কার্যকর হতে চলেছে। কংগ্রেস-জেডিএস জোটসরকারই কর্নাটকের লাগাম ধরতে চলেছে। এ রাজ্যের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের সব আপডেট নিয়েছেন তিনি। তাই তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাতে মিলেছে বিরোধীদের ইতিবাচক পদক্ষেপ। আপাতত বিজেপি বিরোধীতায় সবথেকে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরব হলেন এদিন। জানালেন এই মূল্যবৃদ্ধি বাড়াবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।আমজনতার ভোগান্তির শেষ থাকবে না। আর নোটবন্দি এবং জিএসটি বিদ্বেষী তো মমতা ব্যানার্জি প্রথম থেকেই ছিলেন। তিনি আরো জানালেন যে বিজেপি দেশের শত্রু। তাঁরা চায় দেশ বিভাজন করে দাঙ্গা বাধাতে। তাই অবিলম্বে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে না নিলে দেশে আঁধার ঘনিয়ে আসবে। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকেও ট্যুইট করে লিখেছেন,” মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির অনুদান সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসানে দেখানো হোক।” অর্থাৎ তাঁর দাবী, প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে যদি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অনুদান দিতে পারে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কেন তাঁরা অনুদান দিতে পারবে না? তাই বিষয়টিকে সাম্যের নজরে দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি। এতে বঙ্গবাসীর পাশাপাশি উপকৃত হবে অন্যান্য রাজ্যগুলোও। এমটাই মতামত তাঁর।
আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী ডাকে সাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের বরিষ্ঠ নেতারা। শুধু এই নেত্রীই নন,দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও বিজেপি বিরোধ প্রকাশ্যে এনেছেন। জানিয়েছেন যেমন করেই হোক,২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে বদলাতে হবে সরকার। বিজেপিকে সরাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগকে তাই তাঁরা সমর্থন করেছেন। আপতত তাকেই ঘোষণা করা হচ্ছে বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোটের ‘মুখ’। এমটাই জল্পনা চলছে রাজনীতির অন্দরে।