রাজ্যজুড়ে বিজেপির উত্থানে একটুও ‘চিন্তিত’ নন, কারণ বিজেপির উত্থান ‘দেখতেই’ পাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে একটু একটু করে বাড়ছে বিজেপি। আর মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই রাজ্যে বিজেপিতে যোগদানের ধুম বেড়ে গেছে। এছাড়া একদা তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর ব্যাক্তি মুকুল রায় বিপক্ষ শিবিরে গিয়ে কতটা তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরাচ্ছেন সে নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। এদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্য মুকুল রায় প্রকাশ্য জনসভায় দাবি করেছেন যে ২০১৯ সালে বিজেপি বাংলায় ভাল ফল করবে, আর ২০২১ এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। ফলে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিরোধীরা ভাবতে শুরু করেছিল যে এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু হলেও চিন্তায় পড়বেন। কিন্তু এই দাবিকে নস্যাৎ করে তিনি এদিন কলকাতায় একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন সাঙ্গাব্দমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বিজেপিকে তৃণমূলের প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ নেই কেননা ওরা ওরা খালি চিৎকার করে। ওদের বাইক বাহিনী নিয়ে চিৎকার করুক। কিন্তু বাংলায় ওরা কিছু করতে পারবে না।
এছাড়া বাংলায় তৃণমূলের জনপ্রিয়তার কোনও ঘাটতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলা কখনও বিভেদ ও শাসনের রাজনীতি মেনে নেবে না। বিজেপি সবসময় হিন্দু-মুসলমান ভাগ করে, ওটাই ওদের একমাত্র স্ট্র্যটেজি। এরপর তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকে একটি ‘দাঙ্গাবাজ পার্টি’ বলেও আখ্যায়িত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারে না, তাই পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। বিজেপি শুধু মিডিয়ায় আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে বলেও এদিন দাবি করেন নেত্রী। তাই তিনি বাংলায় বিজেপির উত্থান দেখতে পাচ্ছেন না।
এরপর সারদা-নারদ নিয়েও মন্তব্য করে এদিন তিনি বলেন, যদি এনডিএ কাল ক্ষমতাচ্যুত হয়, তাহলে সিবিআই, ইডি সব তদন্ত একদিনে শেষ হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। একটি রাজ্যে ৪৭টি বন্দর, আর অন্য রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গে) মাত্র ২টি। সবসময় দেশের পশ্চিম ভাগকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে সব কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে মোদী সরকার নাকি ইন্ড্রাস্ট্রিকে বলছে যাতে তারা বাংলায় বিনিয়োগ না করে। তাই তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার করে দিলেন যে তিনি আদৌ বিজেপির উত্থান দেখছেন না, সর্বত্রই তৃণমূল বিজেপি বঙ্গে কোথাও নেই!
বিজেপি শুধু মিডিয়ায় আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আপনার মতামত জানান -