এর আগে বিভিন্ন প্রকল্পে সারাদেশের মধ্যে সেরার সেরা স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। এক্ষেত্রে সেই প্রকল্পগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই দাবি করেছিলেন সকলে। তবে নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্পকে সেরার সেরা করলেও, গত লোকসভা নির্বাচন থেকে অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে 18 টি আসন দখল করে নিয়ে রীতিমতো ঘাসফুল শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিনিয়তই শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বর্তমানে বিজেপির প্রায় প্রত্যেক নেতাই দাবি করতে শুরু করেছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। ক্ষমতা দখল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সত্যিই কি তাই! সূত্রের খবর, আইএএনএস-সি ভোটের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের প্রায় 67.2 শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে সবার প্রথমে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রেখেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রয়েছেন উড়িষ্যার বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়েক।
যেখানে 61.2 শতাংশ মানুষ সমর্থন দিয়েছেন তাঁকে। অন্যদিকে 58.8 শতাংশ মানুষ সমর্থন দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আর সেই দিক থেকে গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম শীর্ষস্থানে থাকায়, বিজেপির অস্বস্তি যে কিছুটা হলেও বাড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন –
টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি লড়লেও, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মত তাদের কোনো মুখ নেই বলে মত প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। আর এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমর্থন দেওয়ায়, বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়! সেদিকে নজর থাকবে সকলেরই। তবে পশ্চিমবাংলায় বিজেপির উত্থান যে ব্যাপকভাবে ঘটছে, সমীক্ষায় তার আভাসও মিলেছে।
এই সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিজেপির ভোট রয়েছে 40.5 শতাংশ, আর তৃণমূলের 36.3 শতাংশ। যার ফলে সকলেই বলছেন, তৃণমূল একটাতে স্বস্তি পেলেও, অন্যটাতে অস্বস্তি পেতে শুরু করেছে। কেননা ভোট শতাংশের দিক থেকে বিজেপি এগিয়ে থাকায়, রাজ্যের ক্ষমতা বিজেপির দিকে চলে যেতে পারে।
ফলে সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি সমর্থন পেলেও, ক্ষমতা যদি ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে চলে যায়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির কারণ হবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন এই সমীক্ষার সঙ্গে বাস্তব মেলে কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।