
ফের একবার কল্পতরু হলেন মুখ্যমন্ত্রী, মানুষের পশে যে তিনি রয়েছেন তা আবারো প্রমান করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিয়ে নবান্নের কাজ বেড়ে গেলো। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ শোনেন যে পঞ্চায়েত দফতর থেকে বার্ধক্য এবং পরিবার সহায়ক ভাতা প্রাপকদের তালিকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে। আর এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায় দেড় লক্ষ বয়স্ক মানুষের ভাতা ফের চালু করে রাজ্য।পরিবহনমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে এও জানান যে তাঁর জেলাতেই প্রায় সাড়ে সাত হাজার বয়স্ক মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী এই নিয়ে বলেন রাজ্য নয় কেন্দ্র এই কাজটি করেছে। যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে এতগুলো বয়স্ক মানুষের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের পশে কেন্দ্র না থাকলেও রাজ্য সরকার থাকবে আর তাই পঞ্চায়েত দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করার পাশাপাশি বাদ পড়া দেড় লক্ষ উপভোক্তাকে মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে নবান্ন ও পঞ্চায়েত দফতরকেও দ্রুত ভাতা চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই ঘোষণা সামনে আসতেই খুশির হাওয়া তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের মতে তাঁদের নেত্রীই পারেন সাধারণ মানুষের পশে এই ভাবে দাঁড়াতে নইলে বাকিরা তো শুধু কাজের কাজ না করে শুধু তৃণমূলকে দুষতে, বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এরকম একটি মানবিক পদক্ষেপ নেওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের পায়ের তলায় আর মাটিই রইলো না বলেও দাবি তাঁদের। যদিও বিরোধীরা অবশ্য একে পঞ্চায়েত ভোটের ‘স্টান্টবাজি’ বলে কটাক্ষ করছেন। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্ত্বের দাবি মানুষ তাঁদের পাশেই রয়েছে।