
কিছুদিন আগেই খবর রটে কলকাতার বুকে এক ছোট ক্লাবের নির্বাচনেও বড়সড় সংঘর্ষ হয়েছে, এমনকি সেই গন্ডগোল থামাতে পুলিশ পিকেটও বসাতে হয়েছিল বলে জানা যায়। আর সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, বর্তমান এক সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সূত্র মারফত জানা যায়, কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এএইআই) ক্লাবের পরিচালন কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে প্রক্সি ভোট চলাকালীন ওই গন্ডগোল হয়। আর তাতে শাসকদলের নাম জড়ানোয় ভালোই হইচই হয়, যদিও শাসকদলের তরফে ওই অঞ্চলের স্থানীয় নেতারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
ফেসবুকে আমাদের নতুন ঠিকানা, লেটেস্ট আপডেট পেতে আজই লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে।
সেই নির্বাচন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ওই নির্বাচনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র জয়ী হয়েছেন। সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে মদন মিত্র গোষ্ঠীকে বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারেরই আরেক সদস্য, তা সত্ত্বেও জয় ছিনিয়ে নেন মদনবাবু বলে জানা যাচ্ছে। যদিও আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ওই সদস্যের অনুগামীরা জানিয়েছিলেন এই নির্বাচনের সাথে তাঁরা কোনোভাবেই জড়িত নন।
এই নির্বাচনের সেইভাবে কোনো গুরুত্ত্ব না থাকলেও, হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় এবং মাদান মিত্র নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্বাভাবিক ভাবেই গুরুত্ত্ব বেড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা সারদা ও নারদ মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁর সঙ্গে দলের যে একটা দূরত্ত্ব তৈরি হয়েছিল, ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে মদনবাবু আবার দলে পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন।