
সামনেই লোকসভা নির্বাচন ইতিমধ্যেই দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করেছে। আর তাই আগামী লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই রেলমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন পীযুশ গোয়েল। যা সামলানো একার পক্ষে খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এবারে সেই পীযুশ গোয়েলের বোঝা কমিয়ে অর্থমন্ত্রকের দ্বায়িত্বে ফের অরুন জেটলি বসায় চাপমুক্ত সকলেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর থেকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে একসাথেই পেশ করা হয় রেলবাজেট। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক এই বাজেট পেশের আগে থেকেই প্রায় পাঁচ মাস ধরে মন্ত্রকের বাজেটকে রূপায়ণ করে তা অর্থমন্ত্রকে পাঠায়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই কাজের জন্য গোটা দেশের ১৭টি জোন থেকে জেনারেল ম্যানেজারদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করতে হয় রেলদপ্তরকে।
ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে
এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
ফলে এহেন একটা সময় যদি অরুন জেটলি নিজের কাজে যোগ না দিতেন তাহলে এই পীযুষ গোয়েলকে বাজেট পেপারও তৈরি করতে হত। আর এতেই কদিন ধরে জল্পনা চলছিল যে তাহলে কী রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে পীযুশ গোয়েলকে সরিয়ে সেই জায়গায় অন্য কাউকে বসাবে মোদী সরকার? সূত্রের খবর, এনিয়ে একটি প্রাথমিক ভাবনাচিন্তাও সেরে রেখেছিল কেন্দ্র।
জানা গেছে, নতুন জোট শরিক নীতীশ কুমারের দলকে একটি বা দুটি মন্ত্রক দিয়ে কিছু ছোট রদবদল করার ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু আপাতত সেদিকে আর পা বাড়াচ্ছে না কেন্দ্র। কেননা, সুস্থ হয়ে ফের অর্থমন্ত্রীর পদে বসেছেন অরুন জেটলি। ফলে অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত রেলমন্ত্রী পীযুশ গোয়েলও। আর তাই আগামী লোকসভার আগে কোনও রদবদল না করে ভোটে জিতে নতুন সরকারে নতুন টিম করার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি।