2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যত দিন গিয়েছে, ততই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সময় বাম নেতারা ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমানে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে মূল লড়াই পদ্ম শিবিরের।
তবে একদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, আর অন্যদিকে বিরোধীদলের জায়গা নেওয়া ভারতীয় জনতা পার্টিকে রুখতে এবার অন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বামফ্রন্ট। কিন্তু কী সেই পদক্ষেপ! জানা যাচ্ছে, তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় করতে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, নকশাল সহ বিভিন্ন দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করবে সিপিএম।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা জেলা সিপিএমের অন্দরমহলে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে তারা কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই আসন ভাগাভাগি পর্বটা সম্পন্ন করে নিতে চাইছে। আর তার কারণেই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিতে চাইছে কলকাতার বাম নেতৃত্ব।
দেশে যে কোনো দিন ব্যান হয়ে যেতে পারে হোয়াটস্যাপ। তাই এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল অ্যাপে। প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিউজ নিয়মিতভাবে পেতে যোগ দিন – টেলিগ্রাম গ্রূপ – টাচ করুন এখানে। সিগন্যাল গ্রূপ – টাচ করুন এখানে।
কিন্তু শুধু আসন ভাগাভাগি নয়, নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের বিষয়টিও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে চাইছে বাম এবং কংগ্রেস। একাংশের মতে, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে, যদি কোনো ওয়ার্ডে বাম এবং কংগ্রেস তাদের প্রার্থী না পায়, তাহলে সেখানে কোনো অরাজনৈতিক মুখকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে পারে তারা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ছন্নছাড়া ভাবে নির্বাচনের লড়াইয়ে নামলে যে ফল ভালো হবে না, তা ভালই উপলব্ধি করেছে বাম নেতৃত্ব। আর তাই এখন থেকেই এই ব্যাপারে আলোচনা সেরে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জোট পর্বে উদ্যোগী হচ্ছে তারা।
কিন্তু মাঝে রয়েছে সুবিশাল আলোচনা পর্ব। তাই সেই আলোচনা কতটা মজবুত হয়! আদৌ সেই আলোচনায় সাফল্য আসে কিনা! এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।